, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ১২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


ছাত্র আন্দোলনে ৩২ শিশুর মৃত্যু ‘ভয়ানক ক্ষতি’: ইউনিসেফ

  • আপলোড সময় : ০৩-০৮-২০২৪ ০২:৪৬:৩২ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৩-০৮-২০২৪ ০২:৪৬:৩২ অপরাহ্ন
ছাত্র আন্দোলনে ৩২ শিশুর মৃত্যু ‘ভয়ানক ক্ষতি’: ইউনিসেফ
এবার জাতিসংঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফ জানিয়েছে, বাংলাদেশে চলমান ছাত্র বিক্ষোভের সময় অন্তত ৩২ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সী শিশুটির বয়স এখনও ৫ বছর হয়নি। এই ঘটনাকে ‘ভয়ানক ক্ষতি’ বলে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।

গতকাল (৩ আগস্ট) শুক্রবার রাতে প্রকাশিত বিবিসি’র একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ইউনিসেফের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক সঞ্জয় উইজেসেকেরা বলেছেন, চলতি সপ্তাহে বাংলাদেশ সফরের সময় শিশুদের আটকের বিষয়ে তিনি অবগত হয়েছেন। আন্দোলনে ৩২ জনের মৃত্যুর বিষয়টি ইউনিসেফ নিশ্চিত করেছে। যা একটি ভয়ানক ক্ষতি।

এই বিষয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত জানিয়েছেন, সরকারের কাছে ইউনিসেফের মৃত্যুর সংখ্যা সম্পর্কে কোন তথ্য নেই। আমরা জানি না, তারা কোথা থেকে নম্বর পেয়েছে। আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। যারাই নিহত হয়েছেন, আমরা তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনতে যাচ্ছি।

এদিকে বিবিসির সাথে কথা বলা চিকিৎসকদের মতে, প্রাথমিক বিক্ষোভ দমন করতে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগের অভিযোগ করা হয়েছে, নিহত ও আহতদের অনেকেই বন্দুকের গুলিতে আহত হয়েছেন। কিন্তু সরকার – যেটি বলেছে বেশ কয়েকজন পুলিশ অফিসারও নিহত হয়েছেন। অস্থিরতার জন্য তারা বিরোধীদের দায়ী করছে।

গত বৃহস্পতিবার দেশের প্রধান ইসলামপন্থী দল জামায়াতে ইসলামি এবং এর ছাত্র সংগঠন শিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। দলটি সহিংসতার পিছনে ছিল বলে দাবি সরকারের। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আমাদের কাছে প্রমাণ আছে যে তারা হত্যাকাণ্ডে এবং সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি ধ্বংসে অংশ নিয়েছে।

এদিকে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধেও বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগের অভিযোগ রয়েছে। ছাত্র বিক্ষোভের সমন্বয়কদেরও এক সপ্তাহের জন্য আটক করা হয়েছিল। তাদের নিজেদের সুরক্ষার জন্যই এটা হয়েছিল বলে কর্মকর্তারা দাবি করেছেন। যদিয়ও বৃহস্পতিবার তাদের মুক্তি এই ক্ষোভ কমাতে পারেনি।

গতকাল শুক্রবার প্রকাশিত একটি যৌথ বিবৃতিতে সমন্বয়করা জনগণকে রাস্তায় আন্দোলন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, যারা নিরস্ত্র ছাত্র ও নাগরিকদের হত্যা করে তাদের হেফাজতে কেউ নিরাপদ নয়। আটকে থাকার সময় তাদের এবং তাদের পরিবারকে হয়রানি, নির্যাতন এবং তাদেরকে দিয়ে নাটক করানো হয়েছে।

তবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত ছাত্র নেতাদের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে বলেন, সরকার ছাত্রনেতাদের হেফাজতে নিয়েছিল, কারণ সরকার তাদের জীবনের সম্ভাব্য হুমকির বিষয়ে সচেতন ছিল। তাদের সুরক্ষা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হয়ে উঠেছে।