এবার কোটাবিরোধী আন্দোলনে সহিংসতার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২১১ জন নিহত হওয়ার তথ্য জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)। আজ বুধবার (৩১ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় তারা। বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানায়, নিহতদের বেশিরভাগের শরীরে প্রাণঘাতী গুলি ও ছররা গুলির ক্ষত চিহ্ন ছিল। আন্দোলন কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় সারাদেশে ৭৯৮টি মামলা হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে ১০ হাজার ৩৭২ জন।
এদিকে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে বিভিন্ন থানায় ২৭০টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছেন ২ হাজার ৮৯১ জন। ২০০ মামলায় আসামি করা হয়েছে দুই লাখ ১৩ হাজারেরও বেশি মানুষকে। চট্টগ্রাম বিভাগের অন্যান্য জেলাতে ৩৩ মামলায় মোট ৯৬৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করা ব্যক্তিদের একটি বড় অংশ বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী এবং দল দুটির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী।
প্রতিষ্ঠানটি বলছে, পুলিশের মামলায় গুলির কথা উল্লেখ নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী মারা যাওয়ার কথা কোনো মামলায় স্পষ্ট বলা হয়নি। এসব মামলার বাদি পুলিশ এবং আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতারা। এতে বলা হয়, গত ২৫ জুলাই দিনগত রাতে রাজধানীর শাহীনবাগ এলাকায় ‘ব্লক রেইড’ দিয়ে যৌথ অভিযান চালিয়ে নিরীহ জন সাধারণকে হয়রানি ও গ্রেফতার করা হয়েছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন কেন্দ্র করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ, হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার মামলায় এ পর্যন্ত ঢাকাসহ ১৮টি জেলায় কথিত নাশকতায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২৫৯ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া জুলাই মাসে কারা হেফাজতে ২ জন, সীমান্তে ৬ জন নিহত হয়েছে। একই সময়ে ৩৫ টি অজ্ঞাত মরদেহ পাওয়া গেছে। গণপিটুনিতে ৩ জন মারা গেছে। ৪১টি ধর্ষণ ও ১৩ টি দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।