, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


আদরের ছোট ছেলে সাঈদকে হারিয়ে পাগলপ্রায় মা, বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন

  • আপলোড সময় : ১৬-০৭-২০২৪ ০৯:০৮:৫১ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৬-০৭-২০২৪ ০৯:০৮:৫১ অপরাহ্ন
আদরের ছোট ছেলে সাঈদকে হারিয়ে পাগলপ্রায় মা, বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন
এবার রংপুরে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ (২২)। তিনি পীরগঞ্জ উপজেলার মদনখালী ইউনিয়নের বাবনপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছোট ছেলে। আজ মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, আবু সাঈদের মা মনোয়ারা বেগম নির্বাক হয়ে পড়েছেন।

নিহত ছেলের ছবির দিকে তাকিয়ে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন তিনি। বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন বাবা মকবুল হোসেন। সবার দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছেন। মাঝে মাঝে বাবা বাবা বলে ডাকছেন তিনি। সন্তানের মৃত্যুর সংবাদ শোনার পর থেকে বাবা-মায়ের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে পরিবেশ। তার মৃত্যুতে এলাকা শোকে আচ্ছন্ন হয়েছে।

জানা গেছে, ৯ ভাই-বোনের মধ্যে নিজের ইচ্ছায় লেখাপড়া চালিয়ে গেছেন আবু সাঈদ। অভাবের কারণে অন্য সন্তানদের লেখাপড়া করাতে না পারলেও সাঈদ খালাশপীর দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয় থেকে গোল্ডেন জিপিএ ৫ পেয়ে এসএসসি পাস করেন। রংপুর সরকারি কলেজ থেকে একই ফলাফল নিয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হন সাঈদ।

এদিকে নিহতের ছোট বোন সুমি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘হামার ভাইকে ওরা মেরে ফেলল ক্যান? হামার ভাই বেঁচে থাকলে হামার স্বপ্ন পূরণ হতো।’ প্রতিবেশী রাসেল আহম্মেদ বলেন, ‘সাঈদের বাবা দিনমজুর হওয়ায় লেখাপড়ার টাকা বহন করতে সক্ষম ছিলেন না। তাই অভাবের কারণে আমার ছেলের লেখাপড়ার সরঞ্জামাদি ও পোশাক ব্যবহার করে লেখাপড়া চালিয়েছে। সে একজন মেধাবী ছাত্র হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলেছিল। ও ভবিষ্যতে ভালো কিছু করতো।’

এ বিষয়ে পীরগঞ্জ থানার ওসি মো.আনোয়ারুল ইসলাস বলেন, ‘আমরা লোকাল আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হিসেবে সতর্ক অবস্থানে আছি; যেন বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টা করা না হয়।’
সর্বশেষ সংবাদ