এবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান বলেছেন, দলীয় কর্মীদের বাঁচাতে নয় বরং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অংশ হিসেবেই আমরা রাস্তায় নেমেছি। সন্ত্রাসীরা কমপক্ষে ১০০ জন শিক্ষার্থীর ওপর হামলা চালিয়েছে। সোমবার (১৫ জুলাই) বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বরের সামনে তিনি এসব কথা বলেন।
এদিকে ইনান বলেন, তারা (কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা) যখন হলে হামলা চালিয়েছে তখন ছাত্রছাত্রীরা বেরিয়ে এসে এই অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। আমরা খুবই অবাক হয়েছি আশপাশের এলাকা থেকেও মানুষজন এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে।
তিনি বলেন, দলীয় কর্মীদের জন্য রাস্তায় নেমেছি, বিষয়টি এমন নয়। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের চেতনার অংশ হিসেবে রাস্তায় নেমেছি। আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। তারা ছদ্মবেশে মেয়েদের ওপর হামলা করে অন্যদের ওপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। আমরা স্পষ্ট ভাষায় এ ধরনের অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে দুপুরে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হতে শুরু করে। একইস্থানে বিকেল ৩টায় বিক্ষোভ সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছিল ছাত্রলীগ। পরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ভিসি চত্বরের সামনে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ। এতে অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়ে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেছে বলে জানা গেছে।