, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪ , ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


এক কোটি টাকা দেনমোহর নয়, ওর কাছ থেকে মুক্তি পেতে তালাক দিয়েছি: মিহি

  • আপলোড সময় : ১২-০৭-২০২৪ ০৭:২৪:১৭ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১২-০৭-২০২৪ ০৭:২৪:১৭ অপরাহ্ন
এক কোটি টাকা দেনমোহর নয়, ওর কাছ থেকে মুক্তি পেতে তালাক দিয়েছি: মিহি
এবার বিয়ের খবরের আগেই স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের খবর ইস্যুতে আলোচনায় উঠে এসেছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী ফারজানা আহসান মিহি। গত কয়েকদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন মাধ্যমে শুভ চৌধুরীকে (মো. জাহাঙ্গীর কামাল) বিয়ে ও সন্তানের ব্যাপারে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এমনটাও শোনা যাচ্ছে―এক কোটি টাকা দেনমোহরের জন্যই নাকি স্বামীকে তালাকনামা পাঠিয়েছেন অভিনেত্রী মিহি।
 
এ নিয়ে যখন নানা আলোচনা-সমালোচনা, সেই সময় বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে কথা বললেন তিনি। এ অভিনেত্রী জানান, বিয়ে করেছেন তিনি, সন্তানও আছে। যা কাছের সব মানুষই জানেন। এটা আড়ালও করেননি মিহি।

শুভ চৌধুরীকে তালাক দেয়ার ব্যাপারে এ অভিনেত্রী বলেন, অনেকে বলছে এক কোটি টাকা দেনমোহর নেয়ার জন্য আমি এমনটা করেছি। কিন্তু ওর কী সেই ক্ষমতা আছে এত টাকা দেয়ার। আমি তো ওর কাছ থেকে মুক্তি পেতে তালাক দিয়েছি। কেননা, সে একজন প্রতারক। আমার কাছে প্রতিনিয়তই তার প্রতারণার শিকার মানুষগুলো আসে।

অভিনেত্রী মিহি বলেন, ২০১৭ সালে কলেজে পড়ার সময় মিথ্যা বলে আমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে সে। প্রথম বিয়ে গোপন রেখে বিয়ে করে আমাকে। ওর সঙ্গে আমার বিয়ে হয়েছিল ১ লাখ টাকা দেনমোহরে। তার গোপন বিয়ের কথা  জানার পর আমাকে সে জানায়, আগের স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়েছে। অথচ তার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতো সে। এ কারণে মায়ের বাসায় চলে আসি আমি।
 
তিনি বলেন, ২০১৯ সালের ঘটনা এটা। আমি তখনই তালাকের চিঠি দেই তাকে। আর এর ৯০ দিনের মধ্যে আমাকে যেকোনো মূল্যে ফিরে পেতে চায় সে। আগের স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে আমার কাছে আসে এবং এক কোটি টাকা দেনমোহর দিয়ে সে নিজেই আমার বিশ্বাস অর্জনের চেষ্টা করে।

এদিকে মিহির ভাষ্যমতে―ব্যবসা করার জন্য তাকে ২০ লাখ টাকা দিয়েছি। সে টাকা নিয়ে দুবাই গেছে। সেখানেও মামলা হয়েছে তার নামে। বুঝতে পেরেছি সংসার সম্ভব না। গত ৩০ জুন তাকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছি আমি, যা কার্যকর হতে তিন মাস অর্থাৎ ৯০ দিন লাগবে। তার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলছে। আমাকে নিয়ে ভিত্তিহীন কথা বলার জন্য লিগ্যাল নোটিশও পাঠিয়েছি তাকে। সাইবার ক্রাইমেও মামলা করেছি, যার তদন্ত চলছে এখন।