এবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ওমান প্রবাসী ছোট ভাই তাজুল ইসলামের মরদেহ গ্রহণ করতে যাওয়ার পথে স্ট্রোক করে বড় ভাই মো. দ্বীন ইসলামের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পাঁচ দিনের ব্যবধানে দুই ভাইয়ের মৃত্যুতে তাদের পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
এদিকে মো. দ্বীন ইসলাম (৫৮) ও তাজুল ইসলাম (৫৫) নোয়াখালী সোনাইমুড়ীর জয়াগ ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের আনন্দীপুর গ্রামের সরওয়ার্দী পাটোয়ারী বাড়ি সিদ্দীক উল্যাহ মিয়ার ছেলে। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুক্রবার বিকেলে তাজুল ইসলামের মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে বড় ভাইয়ের জানাজা শেষে উপজেলার জয়াগ ইউনিয়নের আনন্দীপুর গ্রামের সরওয়ার্দী পাটোয়ারী বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
জয়াগ ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো. মাকছুদুর রহমান বলেন, তাজুল ইসলাম গত ২০ বছর ধরে জীবন জীবিকার তাগিদে ওমানে বসবাস করছেন। পাঁচদিন আগে তিনি ওমানে স্ট্রোক করে মারা যান। শুক্রবার সকালে তার মরদেহ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসার কথা ছিলো। এজন্য বড় ভাই দ্বীন ইসলাম দুদিন আগে ঢাকা চলে যান। কিন্তু যাত্রা পথে তিনি বাসের মধ্যে স্ট্রোক করেন। পরে তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, দ্বীন ইসলামও দীর্ঘদিন ওমানে ছিলেন। সেখানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ছে গত দেড় বছর আগে দেশে চলে আসেন। পরে তার সন্তানেরা তাকে আর ওমান যেতে দেয়নি।
এদিকে জয়াগ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত আকবর বলেন, শুক্রবার সকালে তাজুলের মরদেহ মরদেহ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। এরপর তার স্বজনেরা মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা দেয়। তারা এসে পৌঁছলে মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।