, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪ , ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


আন্দোলনের ঘোষণা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের

  • আপলোড সময় : ১০-০৭-২০২৪ ০২:৪৫:২০ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১০-০৭-২০২৪ ০২:৪৫:২০ অপরাহ্ন
আন্দোলনের ঘোষণা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের
এবার সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখা সংক্রান্ত হাইকোর্টের দেয়া রায়ে চার সপ্তাহের জন্য স্থিতাবস্থা দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা। বলছেন, দেশের মানুষকে জিম্মি করে তারা এই রায় নিয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে, ততোক্ষণ পর্যন্ত আমরাও আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
 
আজ বুধবার (১০ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ের পর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, প্রজন্ম ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। তারা বলেন, দেশের মানুষকে জিম্মি করে এই রায় নিয়েছে আন্দোলনকারীরা। এখন আমরাও বসে থাকবো না। এতোদিন সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে দেখে কঠোর আন্দোলন করিনি। কিন্তু এবার বৈঠক করে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।

এ সময় কোটা শীঘ্রই ফিরিয়ে আনার প্রত্যয় ব্যক্ত করে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিগুলো বলছে, কোটা আবার ফিরিয়ে আনতে শীঘ্রই সংসদ ভবন অভিমুখী মিছিল বের করা হবে। প্রয়োজনের সংসদে আমাদের বিষয়টি উত্থাপন করে শীঘ্রই কোটা ফিরিয়ে আনার দাবি জানাচ্ছি।

এদিকে আন্দোলনকারীদের বিএনপি-জামায়াতের দোসর আখ্যা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা বলেন, ‘আজকে আপনারা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে আন্দোলন করতেছেন। এখানে শরীক হয়েছে বিএনপি-জামায়াতের এজেন্ডা। আপনারা ঘরে ফিরে যান। ৭১ সালে যে স্বাধীনতা হয়েছে আপনার তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। আমরা এই যুদ্ধে অংশ নিতে প্রস্তুত। যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবে, ততোক্ষণ পর্যন্ত আমরাও আন্দোলন চালিয়ে যাবো। আমরাও রাস্তায় থাকবো।’

আপিল বিভাগের আদেশের প্রতিক্রিয়ায় তারা আরও বলেন, আমরা কোটা পুর্নবহাল চাই। কোটা আন্দোলনকারীদের বিপক্ষে আমাদের অবস্থান। এটি চলবে। দাবি আদায় করেই আমরা ঘরে ফিরবো। এদিকে, আপিল বিভাগের রায়ের পর শাহবাগে অবস্থান নেয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের কাছে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তারা জানান, আদালতের প্রতি সম্মান আছে। তবে কমিশন গঠন করে কোটা পদ্ধতির সংস্কার ও স্থায়ী সমাধান হওয়ার আগে পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
 
তারা আরও বলেন, আমরা ২০২৪ সালে এসে শুধু প্রথম ও দ্বিতীয় নয়, সকল চাকরি থেকে কোটা তুলে নেয়ার এক দফা দাবি আমাদের। আমাদের দাবি হাইকোর্টের কাছে নয়, সংসদের কাছে। সংসদে আইন পাশ করে সকল চাকরি থেকে কোটা তুলে নিতে হবে। আইন অনুসারে ৫ শতাংশ কোটা রেখে সব তুলে নিতে হবে। আমরা স্থায়ী সমাধান চাই। স্থায়ী সমাধান না পাওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়ব না, আন্দোলন চালিয়ে যাব।
 
এদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন বলেছেন, আদালতের রায়ের পর আন্দোলন করার আর কোনো যৌক্তিকতা নেই। ২০১৮ সালে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল করে সরকার। পরে ২০২১ সালে কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হাইকোর্টে এর বিরুদ্ধে রিট করেন। গত ৫ জুন হাইকোর্টের এক রায়ের মাধ্যমে আবারও ফিরে আসে কোটা ব্যবস্থা।
সর্বশেষ সংবাদ
টাকা না পেয়ে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে তালা দিলো গ্রাহকরা

টাকা না পেয়ে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে তালা দিলো গ্রাহকরা