এবার পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার স্বজনদের নামে থাকা ৪৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের তদন্তকারীরা বলছেন, অবৈধ সম্পদের মধ্যে ঢাকায় বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাট এবং বিভিন্ন ব্যাংকে জমা রাখা বিপুল পরিমাণ অর্থের সন্ধান মিলেছে। বেনজীরের পরিবারের মালিকানাধীন এসব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির দালিলিক প্রমাণও মিলেছে।
এসব তথ্যের ভিত্তিতে বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদের বিবরণী চেয়ে ইতোমধ্যে আলাদা নোটিশ জারি করেছে দুদক। দুদক আইনজীবী খুরশিদ আলম জানান, বেনজীরের দুর্নীতির অনুসন্ধান শেষ পর্যায়ে রয়েছে। সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দিক বা না দিক এ মাসের শেষের দিকে মামলায় যাবে দুদক। এখন পর্যন্ত বেনজীর ও তার পরিবারের ৪৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য পেয়েছে সংস্থাটি।
এ সময় বেনজীরের অপরাধলব্ধ সম্পত্তি যেই কিনবে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন দুদক আইনজীবী। বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের ২৮ মে দুদকে হাজির হতে চিঠি দেয় সংস্থাটি, সময় নির্ধারণ করা হয় ৬ জুন। কিন্তু সেদিন আসেননি তিনি। প্রতিনিধির মাধ্যমে চিঠি পাঠিয়ে সময় আবেদন করেন বেনজীর।
পরে ২৩ জুন আবারও দুদকে তলব করা হয় বেনজীরকে। তবে সেদিনও দুদকে হাজির হননি তিনি। বেনজীর কোথায় আছেন, সে বিষয়েও নিশ্চিত কোনো তথ্য দিতে পারছেন না কেউই। অন্যদিকে ২৪ জুন তার স্ত্রী জিসান মির্জা, দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাশিন রাইসা বিনতে বেনজীরকে দুদকে হাজির হতে বললেও আসেননি। পরে পলাতক বেনজীরকে ২ জুলাই সম্পদের হিসাব দাখিলের নোটিশ দেয় দুদক।