এবার মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণে আক্রান্ত বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের লজিস্টিক ম্যানেজার নাফিস ইকবালকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের ব্যাংককে নেয়া হচ্ছে। তার অবস্থা এখন অনেকটাই স্থিতিশীল। তবে ঝুঁকি এড়াতে ও আরেকটু উন্নত চিকিৎসার জন্য নাফিসকে নেয়া হচ্ছে বিদেশে। গত শুক্রবার (৫ জুলাই) ভোরে নিজ শহর চট্টগ্রামে প্রচণ্ড অসুস্থ বোধ করায় হাসপাতালে নেয়া হয় নাফিসকে।
পরে ব্রেইন স্ট্রোক হয়েছে নিশ্চিত হওয়ার পর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে আনা হয় ঢাকায়। ঢাকার বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসকরা নিশ্চিত হন তার মাইনর স্ট্রোক হয়েছিল। আপাতত নাফিস মোটামুটি শঙ্কামুক্ত। তবে মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণজনিত সমস্যা বলে যে কোনো সময় অবস্থার অবনতির শঙ্কাও থাকে।
এদিকে দেশের চিকিৎসকেরা আশা করছেন, কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। এই মুহূর্তে তাকে এখানে ভর্তি করা হয়েছে। আরও কিছুদিন এখানে রাখা হবে। কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে চিকিৎসা চালানো হবে। বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী এটা যদি আরও খারাপের দিকে না যায়, তাহলে এই সমস্যা পুরোপুরি ভালো হয়ে যাওয়া সম্ভব।
নাফিসের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বড় ভাইয়ের অসুস্থতার খবর জেনে গত শুক্রবারই দুবাই থেকে দেশে ফেরেন তামিম ইকবাল। তিনি ফেরার পর পরিবারের সবাই আলোচনা করে নাফিসকে দেশের বাইরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ব্যাংককে নাফিসের সঙ্গে যাবেন তার মা, স্ত্রী এবং বোন। তামিম ইকবালও ভিসা করানোর পর ব্যাংকক যাবেন। নাফিসের সংবাদে কাল সন্ধ্যায় হাসপাতালে ছুটে যান মাশরাফী, মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকের মতো তারকা ক্রিকেটাররা। চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল পুরো ক্রিকেটাঙ্গনই।
এদিকে জাতীয় দলের হয়ে নাফিস ইকবাল খেলেছেন ১১টি টেস্ট ও ১৬টি ওয়ানডে। তবে বড় হয়নি তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। দেশের জার্সিতে সবশেষ তাকে দেখা গিয়েছিল ২০০৬ সালে। ২০১৮ সাল পর্যন্ত খেলেছেন ঘরোয়া ক্রিকেট। বর্তমানে জাতীয় দলের ম্যানেজার ও লজিটিস্টকস ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন নাফিস ইকবাল।