এবার কী নাটকটাই না হলো! আর্জেন্টিনা সহজ প্রতিপক্ষ পেয়েছে বলে কত আলোচনা-সমালোচনা, অথচ সেই ‘সহজ’ দলের একটি ইকুয়েডরই আজ কোয়ার্টার ফাইনালে লিওনেল মেসিদের বিদায় ঘণ্টা প্রায় বাজিয়ে দিয়েছিল। পুরো ম্যাচে আর্জেন্টিনার সঙ্গে চোখে চোখ রেখে লড়েছে। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ৩০ নম্বর দলটির হাতেই।
এরপরও ম্যাচটা হেরে গেছে ইকুয়েডর। ম্যাচের প্রথমার্ধে লিসান্দ্রো মার্তিনেসের একমাত্র গোলে আর্জেন্টিনা এগিয়ে গেলেও দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফেরার সুযোগ পেয়েছিল ইকুয়েডর। কিন্তু পেনাল্টি মিস করে বসেন এনার ভ্যালেন্সিয়া। এরপরও হাল ছাড়েনি দলটি। ম্যাচের যোগ করা সময়ে সমতায় ফিরিয়ে ম্যাচ নিয়ে যায় টাইব্রেকারে।
সেখানে আরেকদফা নাটক। প্রথম শট নিতে এসেই মিস করেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন অধিনায়কের পানেনকা শট গোলকিপারকে বিভ্রান্ত করলেও সেটি বারে লেগে বাইরে চলে যায়। তবে মেসিকে এবং আর্জেন্টিনাকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন এমিলিয়ানো মার্তিনেস। দারুণ দুটি সেভ করে আর্জেন্টিনাকে শেষ চারের টিকিট এনে দেন আর্জেন্টাইন গোলকিপার।
এদিকে সে যা-ই হোক, ম্যাচ শেষে মেসির অমন পেনাল্টি নিয়ে যে কথা উঠবে, সেটা অনুমিতই ছিল। সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্ন আসতেই মেসি জানিয়ে দিলেন, তিনি আগেই ঠিক করে রেখেছিলেন, পেনাল্টি ওভাবেই মারবেন। সংবাদ সম্মেলনে মেসি বলেছেন, ‘(পেনাল্টি মিস করে) নিজের ওপর খুব রাগ হচ্ছিল। কারণ আমি আগেই ঠিক করে রেখেছিলাম, যদি সুযোগ আসে, আমি এভাবে শট নেব। দিবু (এমিলিয়ানো মার্তিনেস) ও রুইয়ির (হেরোনিমো রুইয়ি) সঙ্গে আগেই এ নিয়ে কথা বলেছিলাম।’
এর আগে চিলির বিপক্ষে ম্যাচে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছিলেন মেসি। সে কারণে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পেরুর বিপক্ষে খেলতে নামেননি আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। আজ ইকুয়েডরের বিপক্ষে পুরো ৯০ মিনিট খেললেও একেবারেই ছন্দে ছিলেন না।
এদিকে চোটের অবস্থা নিয়ে মেসি বলেছেন, ‘(চিলি ম্যাচের পর) আমি ব্যথা অনুভব করছিলাম এবং চোটের শঙ্কায় ছিলাম। কিন্তু সর্বশেষ অনুশীলনে আমি ভালো অনুভব করি এবং আমার মনে হয়েছে আমি খেলতে পারব। আমি স্কালোনিকে বলেছিলাম, আমি সুস্থ আছি এবং পেশিতে আর কোনো টান অনুভব করছি না।’