বড় মঞ্চে দুর্দান্ত শুরু করে শেষ বেলায় খেই হারানোর কারণে ‘চোকার্স’ তকমাটাও জুড়ে গেছে প্রোটিয়াদের সঙ্গে। চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টানা সাত ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে উঠেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তাই প্রতিপক্ষের পুরোনো অতীতকে সামনে রেখে সেমিফাইনালে নিজেদের ফেভারিট বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন আফগান কোচ জনাথন ট্রট।
তবে এবার আর কোনো অঘটন ঘটতে দেয়নি প্রোটিয়ারা। একক অধিপত্য দেখিয়ে প্রথমবার সেমিতে ওঠা আফগানিস্তানকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে রাবাদা-নরকিয়ারা। গুরবাজ-রশিদদের ৯ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবার বিশ্বকাপের ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) আগে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে মাত্র ৫৭ রানের লক্ষ্য দেয় আফগানিস্তান। জবাব দিতে নেমে ৬৭ বল এবং ৯ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। এতে আফগানিস্তানের ফাইনাল খেলার স্বপ্নভঙ্গ হয়।
মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি প্রোটিয়াদের। ৮ বলে মাত্র ৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার কুইনটন ডি কক। এরপর রেজা হেনড্রিক্সকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন অধিনায়ক এইডেন মারক্রাম। দুজনের ব্যাটে ভর করে ফাইনালের পথে ছুটতে থাকে প্রোটিয়ারা।
শেষ পর্যন্ত মারক্রামের ২১ বলের ২৩ রান এবং হেনড্রিক্সের ২৫ বলের অপরাজিত ২৯ রানে ভর করে ৬৭ বল এবং ৯ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে আফগানিস্তান। দলীয় ২৩ রানেই ৫ উইকেট হারায় তারা।
পুরো টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা গুরবাজ (০) ফেরেন ইনিংসের প্রথম ওভারেই। ৮ বলে ৯ রান করে গুলবাদিন নাইব আউট হলে, ২ রান করে তাকে সঙ্গ দেন আরেক ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান। এদিন ব্যাট হাতে প্রোটিয়া বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়তে পারেননি মোহাম্মদ নবিও।
৩ বলে শূন্য করে আউট হওয়ার পর ২ রান করে ফেরেন খারোতে। তবে অপর প্রান্ত থেকে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন আজমতুল্লাহ ওমারজাই। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১২ বলে সর্বোচ্চ ১০ রান করেন তিনি। এরপর কারিম জান্নাত (৮), নূর আহমেদ (০), রশিদ খান (৮) এবং নাভিন উল হক ২ রানে আউট হলে ৪৯ বল হাতে থাকতেই মাত্র ৫৬ রানে গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান।
এদিকে প্রোটিয়াদের হয়ে মার্কো জনসেন এবং তাব্রাইজ শামসি তিনটি করে উইকেট শিকার করেন। এ ছাড়াও কাগিসো রাবাদা এবং এনরিখ নরকিয়া দুটি করে উইকেট নেন।