এবার বীর মুক্তিযোদ্ধা ও চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যুতে ঢাকা-১৭ আসনটি শূন্য হয়ে পড়েছে। সেই আসনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের হয়ে জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করছেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক। এ নিয়ে অনেকটা কটাক্ষ এবং রোষানলে পড়তে হয় সিদ্দিককে। এদিকে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন এ অভিনেতা। শিল্পীরা রাজনীতিতে এলে কী উপকার হবে সে বিষয়েও কথা বলেছেন।
অভিনেতা বলেন, শিল্পীরা রাজনীতিতে এলে অপরাধ-দুর্নীতিতে কম জড়ায়। গতানুগতিক পরিসংখ্যান দেখলে বোঝা যায়, বাংলাদেশে সে রকম কোনো শিল্পী নেই, যিনি রোলস রয়েস, রেঞ্জ রোভারে চলাফেরা করেন। এমন বড় বড় স্বপ্ন শিল্পীরা কখনই দেখেন না। বড় বড় স্বপ্ন দেখার সাহসও করেন না। শিল্পীরা সবসময় সীমিত অর্থে জীবন পরিচালনার চেষ্টা করেন। তারা এটা চিন্তা করে— আমি এমন কিছু করব না, যাতে নিজের ব্যক্তিত্ব নষ্ট হয়। শিল্পীরা ব্যক্তিত্বে বিশ্বাসী।
তিনি আরও বলেন, সিদ্দিকুর রহমানকে অভিনেতা হিসেবে সারা দেশের মানুষ চেনেন। সেখানে ব্যক্তি সিদ্দিকুর রহমান কখনই চিন্তা করবে না তার কাছে এমপি পদ বড়। তিনি ভাববেন নাট্যকার-অভিনেতা হিসেবে তাকে সবাই চেনেন, ভালোবাসেন; অতএব এমপি পরিচয়ে পরিচিত হওয়ার কিছু নেই। শিল্পীরা এমনটা ভেবে ব্যক্তিত্ব রক্ষায় ব্যক্তিত্ব কলুষিত না করার ভয়ে অবৈধ কাজ করবে না। এ কারণে বলে থাকি— একজন সাধারণ মানুষ থেকে রাজনীতিবিদ হওয়া এবং শিল্পী থেকে রাজনীতিবিদ হওয়ার মধ্যে পার্থক্য এতটুকু।
তিনি আরও বলেন, একজন শিল্পীর রিপ্লেসমেন্ট যদি একজন শিল্পী হয়, তা হলে অবশ্যই সেই শিল্পী শৈল্পিকভাবে কাজগুলো পরিপূর্ণ করবে। সবচেয়ে বড় কথা— একজন শিল্পীর ধারণা, ভাবনাগুলো কখনো সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিলে না, মিলবেও না। আমি যদি এ আসনে সেই সুযোগ পাই, তা হলে ফারুক ভাইয়ের অসম্পূর্ণ কাজগুলো বাস্তবায়ন করব।