এবার নেত্রকোণায় পারিবারিক কলহের জেরে ১৪০টি ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে পুলিশ সদস্য আত্মহত্যা করেছেন। রোববার (৯ জুন) রাতে থানার ব্যারাকে ট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ হলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়। নিহত ওই কনস্টেবলের নাম রুবেল মিয়া (২৮)। তিনি নেত্রকোণা মডেল থানায় কর্মরত ছিলেন।
ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার সহনাটি গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের ছেলে রুবেল। তিনি নেত্রকোণা শহরের কোর্ট স্টেশন এলাকায় তার স্ত্রী জেসমিন আক্তার ও দুই সন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। গত সপ্তাহে স্ত্রী ও সন্তানরা বাড়িতে চলে যাওয়ার পর থানা ব্যারাকে থাকতেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো দায়িত্ব পালন শেষে রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে থানার মেসে খাবার খান। এরপর সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক আইডিতে তিনি ‘দ্যা এন্ড’ লিখে স্ট্যাটাস দেন। সেই স্ট্যাটাস রাত ১২টার দিকে তার ছোট ভাই দেখতে পেয়ে ৯৯৯-এ কল করে জানান। এরপর কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করে।
এ ঘটনা জানার পর নেত্রকোণা মডেল থানা পুলিশ সদস্যরা তাকে প্রথমে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর তাকে ময়মনসিংহের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন সোমবার (১০ জুন) বিকেল পাঁচটার দিকে রুবেল মিয়ের মৃত্যু হয়।
এদিকে নেত্রকোণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, কনস্টেবল রুবেল নেত্রকোণা মডেল থানায় ১ বছর ৬ মাস আগে যোগদান করেন। পারিবারিক কলহের জেরে তিনি অতিরিক্ত ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। ময়মনসিংহে চিকিৎসাধীন মৃত্যু হয় রুবেলের।