এবার ঝিনাইদহের শৈলকুপায় আওয়ামী লীগের কর্মীকে আটকের প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করে হামলা-ভাঙচুর চালিয়েছে তার অনুসারীরা। এরপর পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। আজ রোববার (৯ জুন) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ওই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পুলিশ, সাংবাদিকসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বেশ কয়েকজন। আহতদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, শৈলকুপায় আওয়ামী লীগকর্মী এজাহারভুক্ত আসামি ধলহরা চন্দ্র ইউনিয়নের ধাওড়া গ্রামের মোস্তাক সিকদারকে পুলিশ রোববার দুপুরে আটক করে। এতে ক্ষিপ্ত আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শৈলকুপা থানা ঘেরাও করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।
এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে। এতে হামলাকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ ঘটনায় ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। শনিবার বিকেলে আধিপত্য বিস্তর নিয়ে এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় করা প্রতিপক্ষের অভিযোগে মোস্তাক সিকদারকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) ইমরান জাকারিয়া জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। ১০ মিনিটের হামলার ঘটনায় অন্তত ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। এই ঘটনায় আটক করা হয়েছে দুজনকে।