, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ , ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


চটপটি ও ছোলামুড়িসহ ফুটপাতের ৬ খাবারে মিলেছে ডায়রিয়ার জীবাণু

  • আপলোড সময় : ০৯-০৬-২০২৪ ০২:৩৭:৪০ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৯-০৬-২০২৪ ০২:৩৭:৪০ অপরাহ্ন
চটপটি ও ছোলামুড়িসহ ফুটপাতের ৬ খাবারে মিলেছে ডায়রিয়ার জীবাণু
এবার বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের গবেষণায় দেখা গেছে, রাজধানী ঢাকার পথখাবারে নানা ধরনের ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু রয়েছে। ছোলামুড়ি, চটপটি, স্যান্ডউইচ, আখের রস, অ্যালোভেরা জুস, মিক্সড সালাদে মাত্রাতিরিক্ত ই-কোলাই, ভিবরিও এসপিপি ও সালমেনেলার মতো মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে। এসব জীবাণু ডায়রিয়া ও পেটের পীড়ার জন্য দায়ী।

এদিকে ‘পথ খাবারে মাইক্রোবিয়াল বিপদ এবং রেস্টুরেন্টে রেডি টু ইট সালাদ আইটেম ও এসবের সম্ভাব্য ঝুঁকি বিশ্লেষণ’ শীর্ষক গবেষণায় এসব তথ্য পাওয়া যায়। গবেষণায় ৬ ধরনের খাবারে ৪৫০ স্যাম্পল নেয়া হয়েছে। যার দূষিত পানি, নোংরা গামছা, অপরিস্কার হাত, ধুলাবালিময় পরিবেশের কারণে এই ধরণের জীবাণু খাবারে মিশে যাচ্ছে বলে গবেষণায় জানা যায়।

বিক্রেতাদের হাইজেন, স্যানিটেশন ও শিক্ষা সম্পর্কে ধারণা কম থাকায় খাবার জীবাণুবাহী হয়ে যাচ্ছে। বিক্রেতার স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে ধারণা না থাকায় জুসের মগ ও গ্লাস জীবাণুবাহী হয়ে পড়ে। এইভাবে কন্টামেশনের কারণে ব্যাকটেরিয়া উৎপাদন বাড়ে। অ্যালোভেরা শরবতে এই ধরণের জীবাণু পাওয়া গেছে।

এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর এডভান্সড রিসার্স সায়েন্স’র প্রধান বিজ্ঞানী মো. লুতফুল কবীর। তিনি বলেন, এসব খাবারে ই-কোলাই ও সালমেনেলার মতো মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর জীবাণু পাওয়া গেছে। এসব খাবার খেয়ে মানুষ সংক্রামিত হচ্ছে, তবে অসুস্থ হচ্ছে না। এটি একটা ইউনিক বিষয়। এটা ভালো বিষয়।

তিনি বলেন, বিশুদ্ধ পানির অভাব রয়েছে। বিক্রেতারা পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার নিয়ম মানেন না। এসময় তিনি পথখাবার নিরাপদ করতে বিক্রেতাদের প্রশিক্ষণ ও প্রাত্যহিক মনিটরিং করার উপর জোর দেন।

ই-কোলাই-সালমেনেলা খাবারে উপস্থিত থাকার কথা না। কিন্তু পথ খাবার ও জুস-সালাদে মাত্রাতিরিক্ত ই-কলাই, সালমোনাই পাওয়া গেছে। পাশাপাশি ভিবরিও এসপিপি পাওয়া গেছে। পথ খাবারের বিক্রেতাদের লাইসেন্সের আওতায় আনার প্রয়োজন জানিয়ে তিনি বলেন, স্ট্রিট ফুড বিক্রেতারা লাইসেন্স ছাড়াই কাজ করে। তাদের আইনী কাঠামোর মধ্যে আনলে, বিক্রেতাদের জীবন-জীবিকা সহজ হবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, প্রতি জেলায় কতো ফুড লাইসেন্সে দেয়া আছে সেটি যাচাই করা হবে। একটি লাইসেন্সে নিয়ে তার ছত্রছায়ায় অনেকগুলো কাজ চালায়। বাজারের জুসগুলো কেমিক্যাল ও কালার দিয়ে বিক্রি করছে। আমরা জরিমানা করেছি। এটি অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
এইচএমপি ভাইরাস প্রতিরোধে বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি

এইচএমপি ভাইরাস প্রতিরোধে বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি