আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সড়কপথে যাতায়াত নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে করণীয় নির্ধারণ সংক্রান্ত সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাড়ি যাবে আনন্দ করে, সেখানে একদিন কষ্ট হলো, তাতে এমন কী হবে? একদিন একটু কষ্ট হোক না। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে রাজধানীর বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এদিকে ঈদ সামনে রেখে পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের ধাপে ধাপে ছুটি দেওয়ার বিষয়টি বলা হলেও তা মানেন না মালিকপক্ষ। এ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, গার্মেন্টস ছুটি দিলে হাজারো শ্রমিক রাস্তায় নেমে যায়, যানজট বাড়ে। এ সময় গাজীপুর ও চন্দ্রায় বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। এছাড়া রাজধানীর হানিফ ফ্লাইওভার যানজটের আরেকটি বড় উৎস।
ঈদের সময় রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়ি না করতে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, বৃষ্টির সময় এসেছে, এখন কিসের খুঁড়াখুঁড়ি? ঢাকা দুই সিটি কর্পোরেশনের খুঁড়াখুঁড়ির কাজ ঈদের সময় কঠোরভাবে বন্ধ রাখতে হবে।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো মেরামতের কাজ ঈদের আগেই শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। এছাড়া নতুন করে কোথাও কোনও ধরনের খোঁড়াখুঁড়ি করে যেন জনভোগান্তি সৃষ্টি না করা হয়, সেই বিষয়েও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া যেন কেউ আদায় করতে না পারে, সে বিষয়ে তৎপর থাকতে হবে। এছাড়া, ঈদের আগে-পরে মিলিয়ে সিএনজি স্টেশন ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার জন্য পদক্ষেপ নিতে জ্বালানি মন্ত্রণালয়কে উদ্যোগ নিতে হবে।
সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ঢাকার বাস টার্মিনালগুলোর বাইরে যেন কোনও বাস দাঁড়িয়ে না থাকতে পারে, সেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কোনও বাস যেন অতিরিক্ত ভাড়া না আদায় করে, সেই বিষয়ে সবাইকে তৎপর থাকতে হবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, কুমিল্লা থেকে ৫০ মিনিটের মধ্যে ঢাকায় পৌঁছে যায়, কিন্তু ফ্লাইওভারে এক ঘণ্ট-দেড় ঘণ্টা যানজটে আটকা থাকতে হয়। এটা কেন হচ্ছে? সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে কথা বলে সংশ্লিষ্টরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেন। হেলমেট ছাড়া সিএনজি স্টেশনে যেন কেউ তেল দিতে না পারে, আমি মন্ত্রীর লোক, এমপির লোক... এসব বলে যেন কেউ ছাড় না পায়। ঢাকা শহরে লক্কড়-ঝক্কড় বাস দেখতে ভালো লাগে না। ফিটনেসবিহীন কোনও বাস যেন চলতে না পারে, এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।