, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


টিকলো না ইসরাইলের আপত্তি, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিল ইউরোপের ৩ দেশ

  • আপলোড সময় : ২৮-০৫-২০২৪ ০৬:৩৯:২৫ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৮-০৫-২০২৪ ০৬:৩৯:২৫ অপরাহ্ন
টিকলো না ইসরাইলের আপত্তি, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিল ইউরোপের ৩ দেশ
এবার স্পেন, আয়ারল্যান্ড এবং নরওয়ের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার ঘোষণা আসে গত সপ্তাহেই। ইউরোপের এই তিন দেশের এমন ঘোষণায় ক্ষুব্ধ হয় ইসরাইল, জানায় আপত্তি। কিন্তু সেই আপত্তি টেকেনি। অবশেষে যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে তিন দেশই।
 
এদিকে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মঙ্গলবার (২৮ মে) তালিকার সবশেষ দেশ হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় আয়ারল্যান্ড। এর আগে, একইদিনে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয় স্পেন ও নরওয়ে। আইরিশ সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আজ (মঙ্গলবার) সকালে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই স্বীকৃতির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।’ 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সরকার ফিলিস্তিনকে একটি সার্বভৌম ও স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় এবং ডাবলিন ও রামাল্লাহর মধ্যে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে তারা সম্মত হয়েছে। রামাল্লাহ’য় আয়ারল্যান্ডের একটি পূর্ণ দূতাবাসের পাশাপাশি ফিলিস্তিনে আয়ারল্যান্ডের একজন রাষ্ট্রদূতও নিয়োগ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। আইরিশ প্রধানমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস বলেছেন, ‘এই পদক্ষেপ শান্তির আশা বাঁচিয়ে রাখার জন্য।’ 

এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, আয়ারল্যান্ডের এই সিদ্ধান্ত আশা বাঁচিয়ে রাখার জন্য। এবং এটা বিশ্বাস করা যে, ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনের জন্য শান্তি ও নিরাপত্তায় পাশাপাশি থাকার একমাত্র উপায় হলো দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান। আইরিশ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমি আবারও ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানাচ্ছি, বিশ্বের কথা শুনতে এবং গাজায় আমরা যে মানবিক বিপর্যয় দেখছি তা বন্ধ করতে।
 
এর আগে, ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় স্পেন ও নরওয়ে। মঙ্গলবার (২৮ মে) দুই দেশের পক্ষ থেকেই এ ঘোষণা আসে বলে জানায় সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা ও ফ্রান্স টোয়েন্টি ফোর। 'ন্যায়বিচারের দিকে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ এবং শান্তি অর্জনের একমাত্র পথ' হিসেবে ফিলিস্তিনকে একটি রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে স্পেন। স্বীকৃতির ঘোষণায় এ কথাই জানিয়েছেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ। 
 
ফ্রান্স টোয়েন্টি ফোর জানিয়েছে, মঙ্গলবার (২৮ মে) মন্ত্রিসভার এক বৈঠকের আগে টেলিভিশন ভাষণে এ কথা বলেছেন স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ। এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ব্যবস্থা অনুমোদন পেলো। সানচেজ বলেছেন, ‘এটি একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত, যার একমাত্র উদ্দেশ্য ইসরাইলি এবং ফিলিস্তিনিদের শান্তি অর্জন।’ 
 
তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি শুধুমাত্র ঐতিহাসিক ন্যায়বিচারের বিষয় নয়... আমরা সবাই যদি শান্তি অর্জন করতে চাই তাহলে এটি এখন অপরিহার্য। এই পদক্ষেপ ‘কারও বিরুদ্ধে নয়, অন্তত ইসরাইলের বিরুদ্ধে নয়’ বলেও মন্তব্য করেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী। 
 
তার মতে, এটি (ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি) সমাধানের দিকে অগ্রসর হওয়ার একমাত্র উপায়, যা শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যৎ অর্জনের একমাত্র সম্ভাব্য উপায় হিসেবে আমরা সবাই স্বীকার করি। এর মাধ্যমে শান্তি ও নিরাপত্তায় ইসরাইলের সঙ্গে সহাবস্থান থাকবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রেরও।
 
এদিকে স্পেনের এ ঘোষণার কিছুক্ষণ পর ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়ার ঘোষণা আসে নরওয়ের পক্ষ থেকেও। পরে একই ঘোষণা দেয় আয়ারল্যান্ড। গত সপ্তাহে স্পেন, আয়ারল্যান্ড এবং নরওয়ে- এই তিন দেশের প্রধানমন্ত্রীর সমন্বিত ঘোষণায় ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে তাদের পরিকল্পনার বিষয়টি সামনে আসে। সূত্র: আল জাজিরা, ফ্রান্স টোয়েন্টি ফোর, এএফপি, টাইমস অব ইসরাইল
সর্বশেষ সংবাদ