, বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪ , ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


স্থানীয়ভাবেই মানসম্পন্ন বালাইনাশক উৎপাদন করবে বিএএমএ

  • আপলোড সময় : ২৬-০৫-২০২৪ ০৮:৩৬:২৭ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৬-০৫-২০২৪ ০৮:৩৬:২৭ পূর্বাহ্ন
স্থানীয়ভাবেই মানসম্পন্ন বালাইনাশক উৎপাদন করবে বিএএমএ
দেশের কৃষিতে সবুজ বিপ্লবের পর বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে দেশ খাদ্য উৎপাদনে সয়ংসম্পন্ন হচ্ছে। তবে এই সবুজায়ন রক্ষায় মুখ্য ভূমিকা রাখছে রাসায়নিক সার কিংবা বালাইনাশকের ব্যবহার। ধারণা করা হয় দেশের বালায়নাশক প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার।

কিন্তু এর পুরোটাই আমদি নির্ভর হয়ে গড়ে উঠেছে। ফলে দেশ থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকা বাহিরে চলে যাচ্ছে। এরবার দেশের টাকা দেশেই থাকে যেন সে ব্যবস্থায় স্থানীয়ভাবেই মানসম্পন্ন বালাইনাশক উৎপাদনে করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ এগ্রোকেমিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশন-এর (বিএএমএ) নেতারা।

তারা বলছেন, আমাদের সকলের চেষ্টায় দেশেই বালাইনাশক বানানো যাবে এবং স্বল্পমূল্যে তা বিক্রয় করা যাবে। আর এটি করতে পারলেই দেশের টাকা আর বাহিরের কোম্পানিদের দেয়া লাগবে না। মঙ্গলাবার কুমিল্লায় আয়োজিত নিরাপদ ও মানসম্পন্ন খাদ্য উৎপাদন বিষয়ক কর্মশালায় এসব কথা বলে বাংলাদেশ এগ্রোকেমিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশনের নেতারা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচাল মো. আখতারুজ্জামান বলেন, আমরা সরাসরি কৃষকদের সাথে থেকে তাদের সহযোগিতার জন্য কাজ করছি। মাঠ পর্যায় গিয়ে অনেক সময় আমদানিকৃত বালাইনাশকের কার্যকারিতা ২ শাতাংশের নিচে পেয়েছি। এর জন্য আমাদের কৃষক ও কৃষি ক্ষতির মুখে পড়েছে। 

কৃষক ও কৃষি রক্ষায় আমদানিকৃত বালাইনাশকের ব্যবহার বন্ধের উদ্যোগ নেয়ার এখনি সময় দাবি করে তিনি বলেন, আমাদের কৃষিখাত রক্ষায় এখনি স্থানীয় ভাবে উৎপাদিত বালাইনাশক ব্যবহার জরুরী। আমাদের অনেক তরুণ উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে। এর জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিএএমএসহ   আমাদের সকলের সহযোগীতা খুব বেশি দরকার।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবু নোমান ফারুক আহম্মেদ বলেন, কৃষি দেশের মাটি মানুষের সাথে মিশে আছে। কৃষি এছাড়া আমাদের বড় কোন প্রাকৃতিক সম্পদ নেই। আর দেশের কৃষিতে ব্যবহৃত বালাইনাশক পুরোটাই আমাদানি নির্ভর। এতে দেশের অনেক টাকা বিদেশি কোম্পানির পকেটে চলে যাচ্ছে। তাদের আমাদের দেশ ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রাকৃতিক ভূখণ্ডের নায়, বরং মানব সম্পদের। দেশের মানুষ ও কৃষির সক্ষমতা বাড়াতে নিজেদের তৈরী প্রডাক্টের উপর প্রাধান্ন দিতে হবে। তাছাড়া সরকারও চাচ্ছে দেশীয় শ্যকে সারা বিশ্ব ব্যাপী ছড়িয়ে দিতে। 

এর জন্য আমাদের ঐক্যের প্রয়োজন। তাহলে প্রকৃতিক নিরাপদ আগামীর কৃষি হবে স্মার্ট ও রপ্তানীমুখী। সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ এগ্রোকেমিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারাস এসোসিয়েশনের সভাপতি কেএসএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন কৃষকরা কম মুল্যে সর্বচ্চ মান সম্পুর্ন্য পেস্টিসাইড পাবে যদি আমরা এর উৎপাদন দেশেই করতে পারি।

তিনি আরো বলেন ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ স্লোগানে দেশেই বালাইনাশক উৎপাদন শুরু হয়েছে, অচিরেই আমরা বালাইনাাশনক উপৎপাদনে সয়ংসম্পূর্ন হবো এবং রপ্তানিও করতে পারবো।
সর্বশেষ সংবাদ
‘জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি‘ থাকছে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটে

‘জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি‘ থাকছে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটে