এবার চলতি মাসেই বঙ্গোপসাগরে দুটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘রেমালে’ রূপ নিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে জানা গেছে আগেই। কিন্তু এটি ঘনীভূত হতে পারে কবে? আর ঝড়ে রূপ নিলে সেটি ঠিক কবে আঘাত হানতে পারে?
এদিকে স্থানীয় আবহাওয়াবিদদের বরাতে এবিপিসহ ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বলছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ১-২ দিনের মধ্যেই ঘনীভূত হতে পারে এই ঝড়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আগামী ২২ মে এই ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ার পরে তা উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে। এরপর আগামী ২৪ মে এই ঘূর্ণিঝড় ডিপ-ডিপ্রেশন বা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
উত্তরপ্রদেশের পূর্বভাগ, বিহারের দক্ষিণভাগ, ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গে প্রভাব পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় রেমালের। যদিও ভারতের আবহাওয়া অফিস এখনও স্পষ্টভাবে এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে কোনো সতর্কতা দেয়নি। এদিকে ভারতের অনেক আবহাওয়াবিদ মনে করছেন, বাংলাদেশের বরিশালে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় রেমাল।
এতে পশ্চিমবঙ্গে তেমন ক্ষয়ক্ষতি না-ও হতে পারে। তবে এই মডেলের ল্যান্ডফল নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত রয়েছে। এর আগে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, আগামী ২০ মে থেকে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় রেমালের গতিপথ স্পষ্ট হতে পারে। ২৪ মে সমুদ্র থেকে শক্তি বাড়িয়ে স্থলভাগের দিকে এগোতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। তবে কোথায়, কত গতিতে এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ২০ মে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে একটি ঘূর্ণাবর্ত। সেটি সোজা উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে। এরপর ২৪ মে ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিতে পারে। এরপর ২৫ মে সন্ধ্যার পর সেটি পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশ দিয়ে ভূভাগে প্রবেশ করতে পারে।
এদিকে কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল আগামী ২৬ মে সরাসরি বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।