, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


রাতে ৭ দেশের ১৫ ক্রিকেটারের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ!

  • আপলোড সময় : ২১-০৫-২০২৪ ১০:১৫:০৬ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২১-০৫-২০২৪ ১০:১৫:০৬ পূর্বাহ্ন
রাতে ৭ দেশের ১৫ ক্রিকেটারের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ!
এবার যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বকাপ দলটাই খেলবে আজ থেকে অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে। যে দলটায় যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব বলে কিছু নেই, অন্তত বংশানুক্রমিক ধারায়। তবে নিয়ম মেনে নাগরিকত্ব সবার আছে। ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, জ্যামাইকা, বারবাডোজ, কানাডার মতো সাত দেশের সম্মিলন এই দলটিতে। 

এদিকে আমার ভিনদেশি তারা, জনপ্রিয় এই গানটি যেন যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট দলের সঙ্গে মিলেমিশে একাকার। দলটির ১৫ ক্রিকেটারের সবাই বিদেশী। অন্তত বংশ, জন্ম বা পারিবারিক সূত্রে। তবে সবাইকে এখন একসূত্রে গেঁথেছে যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট। সবচেয়ে বেশি ভারতের আটজন। পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকার দুইজন করে, বারবাডোজ, জ্যামাইকা, কানাডার একজন। পাঁচজনের জন্ম সরাসরি ভারতে।

অধিনায়ক মোনাক প্যাটেল গুজরাটে জন্ম নিলেও পরিবারের সঙ্গে চলে এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রে। খেলেছেন গুজরাট অনূর্ধ্ব ১৯ দলে। ২০১২ যুব বিশ্বকাপে ভারতকে প্রতিনিধিত্ব করা হারমিত সিং এখন পুরোপুরি অ্যামেরিকান। আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলেছেন এই বোলিং অলরাউন্ডার।
 
এদিকে জেসি সিং অবশ্য মাত্র তিন বছর বয়স থেকেই আছেন যুক্তরাষ্ট্রে। ২০১৫তে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর থেকে এই দলটাই তার। দিল্লি ডেয়ারডেভিলস, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু দলের পরিসংখ্যান খুঁজলে পাওয়া যাবে মিলিনদ কুমারকে। যুক্তরাষ্ট্র দলে অভিষেক ২০২১ সালে।

বাহাতি স্পিনার নিসর্গ প্যাটেল দলটির সবচেয়ে বয়সী ক্রিকেটার। ৩৬ বছর বয়সেও তার দলে থাকার মূলে বল টার্ন করার ক্ষমতা। নশ প্রদীপ কেনজিগ আটলান্টায় জন্ম নিলেও চেষ্টা করেছিলেন ভারতের হয়ে খেলতে। দিল্লীর হয়ে খুব একটা কিছু করতে না পেরে স্থায়ী হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে।

লোকেশ রাহুলের সঙ্গে একইসাথে ২০১০ যুব বিশ্বকাপ খেলেছিলেন সৌরভ নেত্রাভালকার। বাঁহাতি পেসার পেশায় একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। কাজ করেন ওরাকলে। নিতিশ কুমার সরাসরি ভারতীয় নন। যদিও তার পূর্বপুরুষ সেদেশের। জন্ম আর বেড়ে ওঠা কানাডার ওন্টারিওতে। এমনকি কানাডা জাতীয় দলের অধিনায়কত্বও করেছেন।

কোরি অ্যান্ডারসনকে সবাই চেনেন। নিউজিল্যান্ডের হয়ে বিধ্বংসী সব ইনিংস খেলেছেন। কিন্তু এখন তিনি স্থায়ী যুক্তরাষ্ট্রে। অ্যারন জোনসও চেনা মুখ। বারবাডোজ থেকে এসেছেন। আলী খান ও শায়ান জাহাঙ্গীর পাকিস্তানী। দক্ষিণ আফ্রিকার দুজন হলেন আন্দ্রিয়াস গোউস ও শেডলি ফন শালকউইক।

এদিকে কাগজে কলমে একজনই যুক্তরাষ্ট্রের। তিনি স্টিভেন টেইলর। কিন্তু তার নামের সঙ্গেও আছে জ্যামাইকার সংযোগ। পূর্বপুরুষের চলা পথে হেঁটেছেন তিনিও। ভিনদেশী এই দলটাকে নিয়েই ক্রিকেট সংস্কৃতি তৈরির চেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্র।
সর্বশেষ সংবাদ