এবার আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয়েছে ৪ বছরের শিশুর। কিন্তু তার মরদেহ ময়নাতদন্ত করতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য জোটেনি অ্যাম্বুলেন্স। আর তাই অগত্যা, বাইকে চেপে ছোট এক গামলায় করে ছেলের মরদেহ নিয়ে হাসপাতাল যেতে হলো অসহায় বাবাকে! এই মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের দিনদোরি জেলায়। এই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
আজ শুক্রবার (১০ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ফ্রি প্রেস জার্নাল। এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, দিনদোরি জেলার মেহদওয়ানি থানা এলাকার ভুরখা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। মূলত গত বুধবার রাতে ওই গ্রামে আকস্মিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চন্দন রাজ নামে ৪ বছর বয়সী এক প্রতিবন্ধী শিশু মারা যায়। আগুনে পুড়ে মারা যায় দুটি গৃহপালিত পশুও।
এদিকে আগুনে পুড়ে শিশুর মৃত্যুর পর স্বাভাবিক নিয়মে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যেতে হবে হাসপাতালে। কিন্তু ওই ব্যক্তি তার ছেলের মরদেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য কোনও অ্যাম্বুলেন্স তো দূরের কথা, গাড়িও পাননি। তাই একজনের বাইকে চড়েই গামলার পুঁটলির ভেতরে নিজের ছেলের মরদেহ হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটির ভিডিওতে ধারণ করা হয়েছে এবং সেটি সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে।
সংবাদমাধ্যম বলছে, যে গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে কোনও হাসপাতাল নেই। ব্যক্তির বাড়ি থেকে হাসপাতালে দূরত্ব ১৪ কিলোমিটার। কেন ওই ব্যক্তি তার সন্তানের মরদেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য কোনও অ্যাম্বুলেন্স পেলেন না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অন্যদিকে যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, একজনের বাইকের পেছনে বসে আছেন ওই ব্যক্তি। এবং তার হাতে কমলা কাপড়ে মোড়া একটি পুঁটলি বা গামলা। তাতেই রয়েছে তার ৪ বছরের সন্তানের মরদেহ তথা কঙ্কাল ও ছাই।
এ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর স্থানীয় পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সরকারি কর্মকর্তা বা গ্রামের কেউ এই বিষয়ে মুখ খোলেননি। এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে বলে জানিয়েছে ফ্রি প্রেস জার্নাল।