এবার চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকায় কর্ণফুলী নদীতে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নিহত পাইলট আসীম জাওয়াদ রিফাতের মানিকগঞ্জের বাসায় চলছে শোকের মাতম। আজ বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকেলে জেলা শহরের বাসায় গিয়ে এই চিত্র দেখা গেছে।
এদিকে নিহত আসীম জাওয়াদের গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার গোপালপুর গ্রামে। তবে তার বাবা-মা জেলা শহরের গোল্ডেন টাওয়ারে নিজস্ব ফ্ল্যাটে থাকতেন। আর চাকরিজনিত কারণে আসীম জাওয়াদ রিফাত স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ চট্টগ্রামে থাকতেন।
তার বাবা আমান উল্লাহ একজন চিকিৎসক আর মা নিলুফার খানম সাভার ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক ছিলেন। রিফাত নারায়ণগঞ্জে বিয়ে করেছেন। তার স্ত্রীর নাম অন্তরা আক্তার।
এদিকে মানিকগঞ্জের বাসায় গিয়ে দেখা যায়, একমাত্র সন্তান আসীম জাওয়াদ রিফাতকে হারিয়ে কান্না করতে করতে মূর্ছা যাচ্ছেন মা নিলুফার খানম। আত্মীয়স্বজনরা তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
এ সময় নিহতের মামা মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সিনিয়র সাংবাদিক সুরুষ খান বলেন, আসীম জাওয়াদ রিফাত একজন চৌকস অফিসার ছিল। ছোটবেলা থেকেই সে বিমানবাহিনীতে যোগ দেবে এমন স্বপ্ন ছিল। রিফাতের স্ত্রী, ছয় বছরের মেয়ে আয়জা ও এক বছরের ছেলে রয়েছে। পরিবার নিয়ে সে চট্টগ্রামে থাকত।
এদিকে নিহতের খালাতো ভাই মো. মশিউর রহমান শিমুল বলেন, আজ সকালের দিকে জানতে পারি চট্টগ্রামে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এরপর থেকেই আমরা খোঁজ নিতে থাকি। পরে দুপুর ১২টার দিকে খবর পাই আসীম জাওয়াদ রিফাত মারা গেছেন। রিফাতের বাবা ইতোমধ্যে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ছাত্রজীবনে রিফাত কখনো দ্বিতীয় হয়নি। আজ বিমান দুর্ঘটনার কারণে দেশ একজন চৌকস অফিসারকে হারাল।