এবার লোকসান কমানোর পাশাপাশি বিশাল অংকের ঋণের সুদ মেটাতে পানির দাম ৩০শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। অথচ তাদের উৎপাদিত ৫০কোটি লিটার পানির মধ্যে বিল হয় না ১৫কোটির। পানির দাম না বাড়িয়ে ওয়াসার ৩০শতাংশ সিস্টেম লসের নামে চুরি বন্ধের মাধ্যমে ব্যয় সাশ্রয়ের পরামর্শ নাগরিক সমাজের।
সরকারের ভর্তুকি না দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে দাম বাড়ানো ছাড়া উপায় নেই বলছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। চট্টগ্রাম মহানগরীতে এখন ওয়াসার পানির আবাসিক সংযোগ ৭৮ হাজার ৫৪২টি ও অনাবাসিক ৭ হাজার ৭৬৭টি। আবাসিকে ৯০ শতাংশ এবং অনাবাসিকে ব্যবহৃত হচ্ছে ১০শতাংশ ওয়াসার পানি। দৈনিক ৩৬কোটি লিটার পানি ব্যবহার করছেন এসব গ্রাহকরা।
সম্প্রতি আবাসিকে হাজার লিটার পানির দাম ২৩ টাকা ৪০ পয়সা ও অনাবাসিকে ৫৫ টাকা ৫০ পয়সা করার জন্য সরকারের কাছে অনুমোদন চায় ওয়াসা। ফলে আবাসিকে এক হাজার লিটারে গ্রাহকের পানির দাম ১৮ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৩ টাকা ৪০ পয়সা ও বাণিজ্যিকে ৩১ টাকা থেকে ৫৫ টাকা ৫০ পয়সা করা হচ্ছে।
সেই হিসাবে আবাসিকে পানির দাম এক লাফে বাড়ল ৩০ শতাংশ আর বাণিজ্যিকে ৫০ শতাংশ। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর কার্যকর হবে ওয়াসার এই সিদ্ধান্ত। ক্যাব জানালো, ঋণের টাকা পরিশোধ করতে পানির দাম বাড়াচ্ছে ওয়াসা। আগে সিস্টেম লসসহ অন্যান্য খরচ কমানোর পরামর্শ তাদের।
এদিকে মূল্যস্ফীতির মধ্যে পানির দাম বাড়ানো মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দেখা দেবে নাগরিকদের উপর। তাই সিস্টেমলসের নামে চুরি বন্ধ করলে পানির দাম বাড়াতে হবে না মন্তব্য নাগরিক সমাজের।
এদিকে ওয়াসা বলছে, হাজার লিটার পানির উৎপাদন খরচ ৩২ টাকা হলেও আবাসিকে বিল ১৮টাকা এবং বাণিজ্যিক বিল হয় ৩১ টাকা। ফলে ওয়াসা ভর্তুকি দিতে আগ্রহী না হওয়ায় পানির দাম বাড়ানো ছাড়া উপায় নেই বলছেন, ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক। প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা ঋণের বোঝা বইছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। তাদের উৎপাদিত ৫০কোটি লিটার পানির মধ্যে ১৫কোটির কোনো বিল হয় না। এই সিস্টেম লস কমাতে মনোযোগ দেয়া দরকার বললেন সংশ্লিষ্টরা।