এবার গাজার দক্ষিণের শহর রাফার কাছে হামাসের হামলায় তিন ইসরাইলি সেনা নিহত হওয়ার পর ইসরাইলের বিমান হামলায় অন্তত ১৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। রোববার ( ৫ মে) এ ঘটনা ঘটে। খবর রয়টার্সের। এর আগে, গাজার কারেম সালম ক্রসিংয়ে হামলার দায় স্বীকার করেছে ফিলিস্তিনের সংগঠন হামাস। ইসরাইল দাবি করেছে, হামাসের ওই হামলায় তাদের তিন সেনা নিহত হয়েছেন।
এদিকে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী জানায়, দক্ষিণ গাজার রাফাহ থেকে কারেম সালন ক্রসিং এলাকার দিকে ১০টি প্রজেক্টাইল ছোড়া হয়। হামাসের হামলার পরপরই এই ক্রসিংটি বন্ধ করে দিয়েছে ইসরাইল। ফলে এখান দিয়ে ত্রাণসামগ্রী গাজায় পৌঁছাতে পারবে না। তবে অন্যান্য ক্রসিং খোলা আছে।
এদিকে, হামাসের সশস্ত্র শাখা দাবি করেছে, ক্রসিং দিয়ে ইসরাইলের সেনা ঘাঁটিতে হামলার উদ্দেশ্যে তারা রকেট ছুড়েছে। বাণিজ্যিক ক্রসিং তাদের হামলার লক্ষ্য ছিল না বলেও জানায় তারা। মিসরের সীমান্তবর্তী গাজার রাফাহ শহরটিতে ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছেন।
ফিলিস্তিনের চিকিৎসকরা জানান, হামাসের হামলার কিছুক্ষণ পরই, রাফাহ শহরের একটি বাড়িতে ইসরাইলি বিমান হামলায় তিনজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। মধ্যরাতের পরপর রাফার আরেকটি বাড়িতে ইসরাইল বিমান হামলা চালায়। এতে এক শিশুসহ নয়জন নিহত হন।
এদিকে গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, ইসরাইলের নতুন হামলা নিয়ে মোট ১৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী পাল্টা হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছে যে, এটি সেই লঞ্চারটিকে আঘাত করেছে যেখান থেকে হামাস ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল। মিসরের কায়রোতে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার মধ্যে পাল্টাপাল্টি এ হামলা চালালো হামাস ও ইসরাইল।