এবার স্বপ্নের মতো একটি মৌসুম পার করছে স্প্যানিশ জায়ান্ট ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। লিগ ও উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের স্বপ্নে শুধু বিভোরই নয় তারা, বাকি কাজ ঠিকমতো করতে পারলে এবার দুটি ট্রফিই বার্নাব্যুতে যাবে- এটি যেনো সমর্থকদের কথা দিয়ে রেখেছেন লস ব্লাঙ্কোস শিবির।
মৌসুমের ফলাফলের নিরিখে ক্লাব বিশ্বকাপ ও উয়েফা সুপার কাপ জয়ের আরও দুটি ট্রফিতে যেনো চোখ তাদের। ঠিক একাদশে বৃহস্পতি ভর করেছে আনচেলোত্তির শিষ্যদের। শুধু খেলার মাঠই নয়, তাদের রাজকীয় সত্ত্বার আরও একটি খবর এলো ফুটবলভিত্তিক জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম ফুটবল বেঞ্চমার্ক থেকে।
তারা জানিয়েছে এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে দামি জার্সি রিয়াল মাদ্রিদের। ‘ফুটবল বেঞ্চমার্ক’ তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পৃষ্ঠপোষকদের কাছ থেকে আয় বিচারে বর্তমানে ইউরোপের যত ক্লাব রয়েছে, তাদের ভেতর রিয়ালের জার্সির মূল্য সবচেয়ে বেশি। যেখানে তারা পেছনে ফেলেছে তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনাসহ বায়ার্ন, ম্যানসিটি, পিএজসি, এসি মিলানের মতো শীর্ষ ক্লাবগুলোকেও।
এদিকে প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে, রিয়াল কেবলমাত্র জার্সিতেই তাদের পৃষ্ঠপোষকদের কাছ থেকে সামগ্রিকভাবে আয় করে ১৯ কোটি ইউরো। এর মধ্যে কিটস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাস থেকেই তারা পায় ১২ কোটি ইউরো। আর রিয়াল মাদ্রিদের প্রধান স্পন্সর এমিরেটস রিয়ালকে দেয় বছরে ৭ কোটি ইউরো।
রিয়াল মাদ্রিদের পরের জায়গাটি অবশ্য বার্সেলোনার। তাদের কিট প্রস্তুতকারক ব্র্যান্ড নাইকি এবং স্ট্রিমিং পরিসেবা প্রতিষ্ঠান স্পটিফাই থেকে তারা আয় করে বছরে সাড়ে ১৭ কোটি ইউরো। বার্সেলোনার পরে তৃতীয় স্থানে ফ্রেঞ্চ জায়ান্ট পিএসজি। ক্লাবটি নাইকি ও কাতার এয়ারওয়েজের কাছ থেকে বছরে ১৪ কোটি ৬০ লাখ ইউরো আয় করে থাকে।
উল্লেখ্য, সেরা তিনের পরের চারটি স্লট দখলে রেখেছে ইপিএলের ক্লাবগুলো। চতুর্থ থেকে সপ্তম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে আর্সেনাল, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ম্যানচেস্টার সিটি এবং চেলসি। তালিকার অষ্টম অবস্থানে জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ।