আগামী ১ জুন শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। এরইমধ্যে দল ঘোষণা করেছে বেশ কয়েকটি দেশ। তবে ধীরে চলো নীতিতে বাংলাদেশ। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত জানিয়েছেন জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকেই হবে বিশ্বকাপ দল। ব্যাটিং-বোলিং মিলিয়ে বিশ্ব আসরে ভালো করার প্রত্যয় অধিনায়কের।
আজ শুক্রবার (৩ মে) ৫ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের ১ম ম্যাচে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়। জিম্বাবুয়ে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পায়নি। এই হিসেবে বাংলাদেশই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ফেবারিট। বিশ্বকাপের আগে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ থাকলেও প্রতিপক্ষকে বাংলাদেশ ছোটো করে দেখছে না বলে জানালেন শান্ত। বিশ্বকাপের সেরা প্রস্তুতির জন্য সব ধরনের চেষ্টাই করবেন বলে জানালেন শান্ত।
এদিকে সিরিজ শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, প্রথমত অধিনায়ক হিসেবে এই সিরিজটা জিততে চাই। এটাই প্রথম লক্ষ্য। আর প্রস্তুতি তো অবশ্যই, ওটা আমাদের মাথায় থাকবে। প্রস্তুতি নিতে গিয়ে যে আমরা খেলাটা হালকাভাবে দেখব কিংবা অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করব, তা–ও নয়। পরীক্ষা–নিরীক্ষার প্রয়োজন হবে না। এ কারণে যে ১৫টা প্লেয়ার এখানে আছে, সবার এই দলকে হারানোর সামর্থ্য আছে। প্রস্তুতি বলব না। আমি বলব সুন্দর প্রস্তুতি এবং কোন কোন জায়গায় ভালো প্রস্তুতি নিয়ে যেন আমরা বিশ্বকাপে যেতে পারি।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজে হেরেছিল বাংলাদেশ। তাই শান্ত বেশ সমীহ করছেন জিম্বাবুয়েকে। তার মতে টি-টোয়েন্টিতে কোনো ছোটো দল নেই। জিম্বাবুয়ে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে উগান্ডার কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে। শান্ত মনে করিয়ে দিয়েছেন এই জিম্বাবুয়েই কদিন আগেই শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেন, টি-টোয়েন্টিতে বড় দল, ছোট দল নেই। আপনি যেটা বললেন, জিম্বাবুয়ে উগান্ডার কাছে হেরে গেছে। এই জিম্বাবুয়ে কিন্তু কিছুদিন আগে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে। ওই রকম চিন্তা করলে খুব বেশি পার্থক্য মনে হয় না। এখানে ম্যাচটা আমরা কীভাবে খেলছি, কীভাবে প্রস্তুত হচ্ছি, নিজেদের আত্মবিশ্বাস কীভাবে গড়ে তুলছি…। এতটুকু বলতে পারি, সিরিজটা এত সহজ হবে না। অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সিরিজই হবে। কারণ, তারাও অনেক ভালো দল।
জিম্বাবুয়ে সিরিজে খেলা বেশিরভাগ ক্রিকেটারই বিশ্বকাপ দলে থাকবেন তা এক কথায় প্রায় নিশ্চিত। তবে দুই একটি পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন শান্ত। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপের আগে নিজেদের প্রস্তুতির কোনো ঘাটতি রাখতে চায় না বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যে সিরিজটা খেলেছি, আর এই সিরিজে যে দলটা আছে। বিশ্বকাপে বেশির ভাগ খেলোয়াড় এখান থেকে যাবে। যদি সবাই সুস্থ থাকে। হ্যাঁ, দুই-একজন এদিক–ওদিক হতে পারে। তবে বেশির ভাগই এখান থেকে যাবে। নির্দিষ্ট করে তিন-চারটা পয়েন্টে মনোযোগ থাকবে, এভাবে বলা মুশকিল। আমি চাইব প্রতিটি জায়গায় যেন ফোকাস থাকে। প্রতিটা জায়গায় যেন আমরা ভালোভাবে প্রস্তুত হয়ে বিশ্বকাপে যেতে পারি।