প্রায় সাত মাস ধরে গাজায় বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। এতে উপত্যকাটির শত শত ভবন ধসে পড়েছে। এসব ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে ১০ হাজারের বেশি মানুষ।
গতকাল মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল এক বিবৃতিতে এমন তথ্যই জানিয়েছে ফিলিস্তিনের সিভিল ডিফেন্স সার্ভিস। খবর আনাদোলু এজেন্সির। সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি জানিয়েছে, আমরা ধারণা করছি ইসরাইলি হামলায় ধ্বংস হওয়া বাড়িঘরের ধ্বংসস্তূপের নিচে ১০ হাজারের বেশি মানুষ চাপা পড়ে আছে।
এদিকে এজেন্সিটি আরও জানিয়েছে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে। এই ১০ হাজার নিখোঁজ মানুষ তাদের মধ্যে নেই। তাদেরকে যুক্ত করলে এ সংখ্যা ৪৪ হাজার ছাড়িয়ে যাবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ঘরবাড়ি ও স্থাপনার ধ্বংসস্তূপের নিচে হাজার হাজার মরদেহ পচে রোগবালাই ছড়িয়ে পড়ছে। বিশেষ করে গ্রীষ্ম মৌসুম শুরু হওয়ায় তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় এসব মরদেহ দ্রুত পচতে শুরু করেছে।
গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। প্রায় সাত মাস ধরে চলা এই হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
এদিকে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা ভূখণ্ডের ধ্বংসস্তূপ সরাতে ১৪ বছর লেগে যেতে পারে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। গত শুক্রবার জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের মাইন অ্যাকশন সার্ভিসের (ইউএনএমএএস) সিনিয়র কর্মকর্তা পেহর লোধাম্মার জানান, যুদ্ধের কারণে প্রায় ৩ কোটি ৭০ লাখ টন ধ্বংসাবশেষ ঘনবসতিপূর্ণ ওই অঞ্চলে পড়ে আছে। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোর ধ্বংসাবশেষসহ পুরো ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করতে ১৪ বছরের মতো সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।