, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ , ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


তীব্র গরমে শ্রেণিকক্ষেই অসুস্থ হয়ে পড়লো ১৮ শিক্ষার্থী

  • আপলোড সময় : ২৮-০৪-২০২৪ ০৪:৪৮:১২ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৮-০৪-২০২৪ ০৪:৪৮:১২ অপরাহ্ন
তীব্র গরমে শ্রেণিকক্ষেই অসুস্থ হয়ে পড়লো ১৮ শিক্ষার্থী
এবার নোয়াখালীর হাতিয়া ও বেগমগঞ্জ উপজেলার দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রচণ্ড গরমে ১৮ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। আজ রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল সোয়া ১০টা থেকে বেলা ১১টার মধ্যে বেগমগঞ্জের আমান উল্যাপুরের জয়নারায়ণপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসা ও হাতিয়া জনকল্যাণ শিক্ষা ট্রাস্ট হাই স্কুলে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিদ্যালয় ও মাদরাসার শিক্ষকরা স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক ডেকে এনে শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। 

এদিকে হাতিয়া জনকল্যাণ শিক্ষা ট্রাস্ট হাই স্কুলের সহকারী জ্যেষ্ঠ শিক্ষিকা ফাতেমা ইসরাত জানান, আজ সকাল ১০টার দিকে বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়। পরক্ষণেই বিভিন্ন শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসুস্থতা লক্ষ্য করা যায়। একপর্যায়ে ষষ্ঠ শ্রেণির ১১ জন, অষ্টম শ্রেণির ২ জন, নবম শ্রেণির ২ জন ও দশম শ্রেণির ২ শিক্ষার্থী গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ে। 

এ সময় শিক্ষিকা ফাতেমা ইসরাত আরও জানান, শিক্ষার্থীদের কারো পেট ব্যথা কারো মাথাব্যথা কারো চোখ ব্যথা লক্ষ্য করা যায়। এ সময় একজন শিক্ষার্থী বমিও করে। শিক্ষার্থীদের এমন অবস্থা দেখে তাৎক্ষণিক স্থানীয় পল্লী চিকিৎসককে ডেকে এনে অসুস্থ সকল শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। এরপরে তাদেরকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন শিক্ষকরা।

এদিকে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাতিয়া জনকল্যাণ হাইস্কুলের ঘরটি টিনের হওয়ার কারণে বিদ্যালয়ে আসার পর বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার্থীরা গরমে হাঁসফাঁস করতে থাকে। গরমের কারণে সৃষ্ট সংকটের এ বিষয়টি ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

অপরদিকে, বেগমগঞ্জের আমান উল্যাপুরের জয়নারায়ণপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসায় সকাল ১০টা ২০ মিনিট থেকে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা ছিল। সবাই শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের জন্য অপেক্ষা করছিল। ১০টার দিকে আফিফা নামের এক শিক্ষার্থী গরম সহ্য করতে না পেরে হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। মাথায় পানি ঢালার পর তার জ্ঞান ফেরে। এরপর তার শিক্ষক বাবা তাকে বাড়ি নিয়ে যান। আফিফা ওই মাদরাসার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ও শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে।

এদিকে মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক জামাল উদ্দিন বলেন, আফিফা অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল। আমরা তার মাথায় পানি ঢালার পর সে সুস্থ বোধ করলে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেই। আফিফা ছাড়াও বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ বোধ করছিল। আমরা তাদেরও ছুটি দিয়ে দিয়েছি। 

এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুদ্দিন জাহাঙ্গীর বলেন, হাতিয়ার জনকল্যাণ ট্রাস্ট হাই স্কুলে গরমের কারণে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ার বিষয়টি তিনি জেনেছেন। এছাড়া তিনি আর কোথাও কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থ হওয়ার খবর পাননি।
সর্বশেষ সংবাদ
‘গণহত্যার জন্য যাদের অনুশোচনা নেই, তারা রাজনীতি করারও অধিকার হারিয়েছে’

‘গণহত্যার জন্য যাদের অনুশোচনা নেই, তারা রাজনীতি করারও অধিকার হারিয়েছে’