, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ , ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


ঘুমের ওষুধ খাইয়ে স্বামীকে পরকীয়া প্রেমিকের হাতে তুলে দেন স্ত্রী

  • আপলোড সময় : ২৭-০৪-২০২৪ ১১:৫২:৩৩ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৭-০৪-২০২৪ ১১:৫২:৩৩ পূর্বাহ্ন
ঘুমের ওষুধ খাইয়ে স্বামীকে পরকীয়া প্রেমিকের হাতে তুলে দেন স্ত্রী
এবার পরকীয়া প্রেমিক মামুন চৌকিদারের কথায় স্বামী মোহাম্মদ আলী মাদবরকে (৪০) ভাতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান স্ত্রী মুন্নি বেগম। পরে স্বামী ঘুমিয়ে পড়লে রাতে তুলে দেন প্রেমিকের হাতে। এরপর একটি পুকুর থেকে মোহাম্মদ আলীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় এই ঘটনা ঘটে।

গতকাল শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে নিহতের বাড়িতে স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদে মুন্নি বেগম এসব কথা জানান। পরে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে যায়। নিহত মোহাম্মদ আলীর বাড়ি ওই উপজেলার জপসা ইউনিয়নের মাইজপাড়া গ্রামের রাড়ি কান্দি এলাকায়। তিনি পেশায় একজন সিএনজি চালক ছিলেন।

জানা যায়, প্রায় ৯ বছর আগে মোহাম্মদ আলী মাদবরের সঙ্গে বিয়ে হয় মুন্নি বেগমের। তাদের সংসারে দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। মুন্নি বেগম প্রায়ই তার পরকীয়া প্রেমিক মামুন চৌকিদারের সঙ্গে পালিয়ে চলে যেতেন। কিছুদিন আগেও মুন্নি বেগম মামুনের সঙ্গে পালিয়ে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু ছোট সন্তানদের কথা ভেবে মোহাম্মদ আলী মাদবর তার স্ত্রী মুন্নিকে আবার ফিরিয়ে আনেন। এরপরও পরকীয়া প্রেমিক মামুন চৌকিদার বিভিন্নভাবে মুন্নি বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। 

গত বুধবার রাতে মোহাম্মদ আলী মাদবুর নিখোঁজ হওয়ার পরদিন সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান চাঁন মিয়া মাদবরের পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠায়। হাসপাতাল থেকে মোহাম্মদ আলীর স্বজনরা জানতে পারেন মোহাম্মদ আলী ঘুমের ওষুধ খেয়েছিলেন। এরপর বাড়িতে এসে মুন্নি বেগমের কাছে বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে ভাতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে স্বামীকে পরকীয়া প্রেমিক মামুন ও তার সঙ্গীদের কাছে তুলে দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। এরপর মুন্নি বেগমকে আটক করে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী।
 
নিহত মোহাম্মদ আলী মাদবরের স্ত্রী মুন্নি বেগমে বলেন, আমি চলে গিয়েছিলাম। এরপর ঝামেলা করে আমাকে আবারও এনেছিল মোহাম্মদ আলী। এই বাড়িতে আসার পরও মামুনের সঙ্গে আমার মোবাইলে যোগাযোগ হয়েছিল। মামুন আমাকে বলেছিল, মোহাম্মদ আলী আমার (মামুনের) নামে মামলা করেছে। মামলা যদি চলমান থাকে তাহলে মোহাম্মদ আলীর ক্ষতি করব। কিন্তু আমি তাকে বলেছিলাম, মোহাম্মদ আলী মামলা তুলে ফেলবে, ক্ষতি করার দরকার নেই।

কিন্তু সে আমার কথা শোনেনি বরং আমাকে ভয় দেখিয়ে বলেছে, ‘আজ ঘুমের ওষুধ দিয়ে যাব, এই ওষুধ মোহাম্মদ আলীকে খাওয়াতে হবে। নয়তো তোমার মেয়েদের মেরে ফেলব।’ মামুনের এমন কথায় আমি মোহাম্মদ আলীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়েছি। এরপর মামুন এসে মোহাম্মদ আলীকে নিয়ে গেছে। মামুন যখন মোহাম্মদ আলীকে নিয়ে যায়, তখন ওর সঙ্গে আরও দুইজন ছেলে ছিল। কিন্তু আমি তাদের চিনি না। যখন মোহাম্মদ আলীকে নিয়ে যাচ্ছিল, তখন মোহাম্মদ আলী অজ্ঞান ছিল।

এ বিষয়ে শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) আহসান হাবীব বলেন, নিহত মোহাম্মদ আলীর পরিবারে দাম্পত্য কলহ ছিল। বিষয়টি নিয়ে থানায় বেশ কয়েক বার অভিযোগ করা হয়েছিল। মোহাম্মদ আলীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তার স্ত্রীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন স্বজনরা। বিষয়টি থানা পুলিশ টের পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। পরে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে এসেছে। জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।  
সর্বশেষ সংবাদ
চাকরিপ্রত্যাশীদের ১ বছর রাষ্ট্র থেকে ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে:আমীর খসরু

চাকরিপ্রত্যাশীদের ১ বছর রাষ্ট্র থেকে ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে:আমীর খসরু