আঞ্চলিক ও বিশ্ব শান্তির জন্য তেহরান সবচেয়ে বড় হুমকি বলে জানিয়েছে তেল আবিব। ইসরাইলি ভূখণ্ডে ইরানের শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর রোববার (১৪ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করে ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সোমবার (১৫ এপ্রিল) রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার (১৩ এপ্রিল) স্থানীয় সময় রাতে ইসরাইলে আঘাত হানে ইরানের শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র। সিরিয়ায় থাকা নিজেদের কনস্যুলেটে হামলার প্রতিশোধ নিতে এ হামলা চালায় দেশটি। ইরানি হামলার কড়া জবাব দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসরাইল। একই সঙ্গে তেহরানকে আঞ্চলিক ও বিশ্ব শান্তির জন্য ‘সবচেয়ে বড় হুমকি’ বলে উল্লেখ করেছে ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রলণালয়।
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ইরানের বিরুদ্ধে দ্রুত সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত। একই সঙ্গে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীকে (আইআরজিসি) সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ইরান ইসরাইলি ভূখণ্ডকে লক্ষ্য করে নজিরবিহীন আক্রমণ করেছে। তারা শত শত ড্রোন, ক্রুজ মিসাইল এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরাইল বছরের পর বছর ধরে যে বলে আসছে-ইরান এই অঞ্চলে সন্ত্রাসী হামলার মদদদাতা এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও বিশ্ব ব্যবস্থার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি এই হামলার মাধ্যমে আবারও তা প্রমাণ হয়েছে। তাই ইরানকে কখনই পারমাণবিক অস্ত্র বানাতে দেয়া উচিত নয়।
এদিকে রোববার রাতে ইসরাইলের যুদ্ধ মন্ত্রিসভা পশ্চিমা নেতাদের সতর্কতা সত্ত্বেও ‘আক্রমণাত্মক এবং প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ’ উভয়ই অনুমোদন করেছে বলে জানিয়েছে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক প্রতিশোধ না নিতে। একই সঙ্গে তিনি নেতানিয়াহুকে তর দেশের পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে ‘সতর্কতার সঙ্গে ভাবারও’ পরামর্শ দেন।
এদিকে বাইডেনের পরামর্শ মেনে ইসরাইল তাৎক্ষণিকভাবে ইরানে আক্রমণ না চালালেও তারা বলছে, ইরানে নিজের বেছে নেয়া উপায় ও সময়ে হামলার অধিকার ইসরাইলের রয়েছে।