, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ , ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


একসঙ্গে ৬ সন্তান প্রসব, মারা গেল সবাই 

  • আপলোড সময় : ১২-০৪-২০২৪ ১১:৪৭:১২ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১২-০৪-২০২৪ ১১:৪৭:১২ পূর্বাহ্ন
একসঙ্গে ৬ সন্তান প্রসব, মারা গেল সবাই 
এবার টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক প্রসূতি মা। ত‌বে জন্মের পরই মারা যায় ছয় শিশু। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) দুপু‌রে মির্জাপু‌র কুমু‌দিনী মে‌ডি‌কেল ক‌লেজ হাসপাতা‌লে তাদের জন্ম হয়। শিশুদের মা সুমনা বর্তমানে মির্জাপুরের কুমুদিনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

চিকিৎসক জানান, নির্ধা‌রিত সম‌য়ের আগেই জন্ম নেয়া ছয় শিশুর কাউকে বাঁচানো যায়নি। প্রসূতি সুমনা আক্তার টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের কালমেঘা কড়ইচালা এলাকার প্রবাসী ফরহাদ মিয়ার স্ত্রী। প্রবাসী ফরহাদের মামা নজরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে সুমনার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় তিন বছর আগে উপজেলার কালমেঘা কড়ইচালা গ্রামের ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে একই উপজেলার গড়গোবিন্দপুর গ্রামের সুমনার বিয়ে হয়। পাঁচ মাস আগে সুমনা অন্তঃসত্ত্বা হলে টাঙ্গাইলের এক গাইনি চিকিৎসক ওই দম্পতিকে জানান, সুমনার গর্ভে চারটি ভ্রূণ বড় হচ্ছে। এরপর থেকেই সুমনা নিয়মিত চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে ছিলেন।১৫ দিন আগে তার স্বামী সিঙ্গাপুর চলে যান।

বৃহস্পতিবার সকালে সুমনা পেটে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন। একপর্যায়ে বাড়িতেই একটি সন্তানের জন্ম দেন। তাকে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকেরা সুমনাকে দ্রুত ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে স্বজনরা সুমনাকে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তিনি স্বাভাবিকভাবে পরপর আরও পাঁচটি সন্তান প্রসব করেন। 

এদিকে সুমনার মামা শ্বশুর নজরুল ইসলাম বলেন, সকালে আমিই সুমনাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছিলাম। বাচ্চাগুলো জন্ম নেয়ার এক ঘণ্টার মধ্যেই মারা যায়। সুমনার অবস্থা বর্তমানে কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে। 
 
সুমনার আরেক মামা শ্বশুর মো. শাহজাহান বলেন, সুমনা প্রায় ৫ মাসের গর্ভব‌তী ছিল। ঈদের দিন সকালে পে‌টে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করলে দ্রুত তাকে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়। পরে সুমনার শা‌রীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখা‌নে চি‌কিৎসকরা নরমাল প্রসব করান। ৬ সন্তা‌নের ম‌ধ্যে ৪ ‌জন মে‌য়ে ও ২ জন ছে‌লে সন্তান। ত‌বে কোনো সন্তানই বেঁচে নেই। প‌রে বি‌কে‌লের দি‌কে ৬ সন্তান‌কে বা‌ড়ি‌তে আনা হ‌লেও তাদের মা এখনো হাসপাতা‌লে চি‌কিৎসা নি‌চ্ছে।
 
এদিকে মা সুমনা আক্তার জানায়, সখীপু‌রের এক‌টি ক্লি‌নি‌কে আল্ট্রাস‌নোগ্রাম ক‌রি‌য়ে‌ছিলাম। সে সময় চি‌কিৎসক ৪ সন্তা‌নের কথা ব‌লে‌ছি‌লেন। তখন সব সন্তানই ভালো ছিল। প‌রে ব্যথা নি‌য়ে কুমু‌দিনী হাসপাতা‌লে ভ‌র্তি হওয়ার পর নরমাল ডে‌লিভারি‌তে সন্তানগুলো জন্ম হ‌য়। কপাল খারাপ তাই সন্তানগু‌লোর কেউই বেঁচে নেই।
সর্বশেষ সংবাদ
নির্বাচন যত দেরিতে হবে, ষড়যন্ত্র তত বৃদ্ধি পাবে: তারেক রহমান

নির্বাচন যত দেরিতে হবে, ষড়যন্ত্র তত বৃদ্ধি পাবে: তারেক রহমান