এবার খুলনার রূপসা রেল সেতুর পিলারে ধাক্কা লেগে ড্যাপ সার বোঝাই ‘টিএলএন-১’ নামক একটি কার্গো জাহাজ ডুবির ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুরে রূপসা নদীতে নির্মাণাধীন রেল সেতুর ৭২ নাম্বার পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে—এই কার্গো জাহাজ ডুবির ঘটনা ঘটে।
এ সময় জাহাজে থাকা ১৩ জন নাবিকের মধ্যে ১১ জন তীরে উঠতে পারলেও দুজন নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজ দুজন হলেন, পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার কালাম শেখ ও নড়াইলের সাখাওয়াত হোসেন। কালাম শেখ ওই জাহাজের বাবুর্চি ও সাখাওয়াত গ্রিজার হিসেবে কাজ করতেন।
এদিকে ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজের নিখোঁজ ২ জন কর্মচারীর সন্ধানে স্থানীয় ডুবুরি দল, নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের ৫টি টিম তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। কিন্তু বিকাল ৫টা পর্যন্ত তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. হাসান জানান, হঠাৎ একটি কার্গো জাহাজ রূপসা রেল সেতুর পিলারের সঙ্গে বিকট শব্দে ধাক্কা লেগে নদীতে ডুবে যায়। জাহাজের কয়েকজন রূপসা নদী সাঁতরে পাড়ে উঠলেও দুজন নিখোঁজ রয়েছেন।
এদিকে জাহাজের ইঞ্জিনের দায়িত্বে থাকা মো. রাজিব বলেন, জাহাজের ইঞ্জিন হঠাৎ করে বিকল হয়ে যায়। ফলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জাহাজটি পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে দুজন নিখোঁজ রয়েছেন।
রূপসা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর নুরুল ইসলাম শেখ জানান, নদীতে ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজের নিখোঁজ দুজন কর্মচারীর সন্ধানে দুপুর দেড়টা থেকে স্থানীয় ডুবুরি দল, নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের ৫টি টিম তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। কিন্তু বিকাল ৫টা পর্যন্ত তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে রেল সেতুর ৫০ গজ উত্তর দিকে ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজটি শনাক্ত করা হয়েছে।
এদিকে খুলনা নৌ পুলিশ সুপার শরিফুর রহমান বলেন, ‘আমরা কার্গো জাহাজ ডুবির ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে চলে আসি। আমরা নিখোঁজ দুজনকে উদ্ধারের চেষ্টা করছি।’