, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ , ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


মালদ্বীপে রাষ্ট্রীয় আমন্ত্রণে তারাবি পড়াচ্ছেন বাংলাদেশি হাফেজ

  • আপলোড সময় : ০৩-০৪-২০২৪ ১০:৩৭:৩৮ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৩-০৪-২০২৪ ১০:৩৭:৩৮ পূর্বাহ্ন
মালদ্বীপে রাষ্ট্রীয় আমন্ত্রণে তারাবি পড়াচ্ছেন বাংলাদেশি হাফেজ
এবার পবিত্র রমজানে মসজিদে মসজিদে পবিত্র কোরআন খতম মুসলিম বিশ্বের ঐতিহ্য। এ জন্য বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশি হাফেজদের রয়েছে আলাদা কদর। সুমধুর তেলাওয়াত ও হৃদয়কাড়া সুরে বিদেশের মাটিতে নজর কাড়ছেন তারা।
 
এদিকে গতবছর মালদ্বীপে পবিত্র মক্কার ইমাম আব্দুর রহমান আস সুদাইসির মতো কোরআন তেলাওয়াত করে মুগ্ধতা ছড়িয়েছিলেন সিলেটের হাফেজ কামরুল আলম। কোরআনের সুরের মূর্ছনায় উদ্বেলিত হয়ে এবারও দেশটির আমন্ত্রণে তারাবি পড়াচ্ছেন তিনি।
 
এর আগে গেল বছর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোরআন তেলাওয়াতের ভিডিও শেয়ার করায় নয়নাভিরাম ও অপরূপ সৌন্দর্যের দেশ মালদ্বীপের নজরে পড়েন হাফেজ কামরুল। প্রবাসীদের সহযোগিতায় যোগাযোগ করে তাকে আমন্ত্রণ জানান দেশটির সাবেক সংসদ সদস্য আলী ফাজাদ।
 
এদিকে সিলেটের বালাগঞ্জের মাহবুবুর রহমান ও সাহেদা বেগম দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান কামরুল আলম। প্রাইমারি স্কুলে পড়া অবস্থায় ভর্তি হন মাদ্রাসায়। জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেটের (জেডিসি) পরীক্ষার পর নিজ ইচ্ছায় দুই বছরের মাথায় হিফজুল কোরআন শেষ করেন তিনি। বর্তমানে অধ্যায়ন করছেন সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসায় আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে।
 
এ বিষয়ে হাফেজ কামরুল আলম বলেন, ২০২২ সালে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের ভিডিও ইউটিউবে পান মালদ্বীপের মসজিদ কমিটির এক সদস্য। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাধ্যমে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে ২০২৩ সালে দেশটির ফুবামুলাহর মসজিদ আল ইনারায় তারাবি নামাজের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় গত সেপ্টেম্বর মাসে তারা ফোনের মাধ্যমে এ বছরও তারাবির জন্য আমন্ত্রণ জানান।
 
তিনি জানান, এবার নামাজ পড়াচ্ছেন ফুবামুলাহ সিটির মসজিদ আল-হুদা মসজিদে। নান্দনিক নির্মাণশৈলী আর স্থাপত্যে অনন্য মসজিদ আল-হুদা দুই তলা বিশিষ্ট। এক সঙ্গে ১ হাজার মুসল্লি সালাত আদায় করতে পারেন এখানে। মসজিদটি সিটির মধ্যখানেই অবস্থিত। মালদ্বীপে অবস্থানরত বাংলাদেশি ও সেখানকার স্থানীয়দের আন্তরিকতা ও ভালোবাসা পেয়ে মুগ্ধ, যোগ করেন তিনি।
 
এদিকে প্রবাসী বাংলাদেশি হাফেজ কাদের আহমদ বলেন, হাফেজ কামরুল আলমের তেলাওয়াতে এখানকার সবাই মুগ্ধ। অনেক মানুষ আছেন যারা বহু দূর থেকে তার তেলাওয়াত শোনার জন্য আসেন। সবাই তাকে বাংলাদেশের সুদাইসি হিসেবে চেনেন। আমাদের দেশের একজন হাফেজ রাষ্ট্রীয়ভাবে মালদ্বীপে তারাবি নামাজের ইমামতি করছেন, সেটা বাংলাদেশ এবং আমাদের জন্য গর্বের বিষয়।
 
এ বিষয়ে মালদ্বীপের সাবেক সংসদ সদস্য আলী ফাজাদ বলেন, হাফেজ কামরুল আলমের তেলাওয়াত খুবই শান্ত এবং প্রশান্তিদায়ক। তারাবির জন্য এখানে আসা সেরা ইমামদের একজন তিনি। পুরো দ্বীপ থেকে সবাই এবং অনেক বিদেশি তার তেলাওয়াত শুনতে আসেন। আল্লাহ তার মঙ্গল করুক।
দেশে ফিরে নিজের স্বপ্নের কথা জানালেন বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস

দেশে ফিরে নিজের স্বপ্নের কথা জানালেন বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস