আজ সকালে রাজধানীর ফুলার রোডে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক কোয়ার্টার থেকে আদ্রিতা বিনতে মোশারফ নামে এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
আজ রোববার (৩১ মার্চ) ভোরে দক্ষিণ ফুলার রোডের ১৯ নম্বর ভবনের তৃতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, রোববার ভোরে খবর পেয়ে বাসা থেকে আদ্রিতার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা বলছে পুলিশ।
এদিকে পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রাতের কোন এক সময় নিজের কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে আদ্রিতা। তবে, ঠিক কোন কারণে আত্মহত্যা করেছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়।
স্বজন ও সহপাঠীরা জানান, তার বাড়ি কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার মজলিশপুর গ্রামে। আদ্রিতার বাবা অধ্যাপক ড. মোশাররফ হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষক। বাবা-মায়ের সাথেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারে থাকতেন আদ্রিতা।
এর আগে, চলতি মাসের ১৪ মার্চ রাতে ফেসবুকে স্ট্যাটাসে সহকারী প্রক্টর ও সহপাঠীকে দায়ী করে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী অবন্তিকা। এরপর সেদিন মধ্যরাত থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে জবি ক্যাম্পাস। ক্ষোভে ফেটে পড়েন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত বিচারের দাবিতে রাতভর ক্যাম্পাসে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের শান্ত করতে ক্যাম্পাসে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সাদেকা হালিম।
ওইদিন রাতেই অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে আটক করে পুলিশ। এরপর আদালতের মাধ্যমে সহপাঠী আম্মানকে দুইদিন ও শিক্ষক দ্বীন ইসলামকে একদিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়। রিমান্ড শেষে বর্তমানে কারাগারে আছেন তারা।