এবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন পয়েট অব পলিটিক্স, আর তার কন্যা শেখ হাসিনা হলেন ম্যাজিশিয়ান অব পলিটিক্স। আজ শনিবার (৩০ মার্চ) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে রংপুর বিভাগের আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইতিবাচক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি বিএনপির রাজনীতিকে অন্ধকারে ফেলে দিয়েছে। এ থেকে তারা সহসাই বের হতে পারছে না। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বিশ্বের ৮১টি দেশ এবং ৩২টি আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। নির্বাচনকে ঘিরে যারা আতঙ্ক ছড়িয়েছে, নিষেধাজ্ঞা দেওযার কথা বলেছে তারাও বাংলাদেশের বাস্তবতা বুঝতে পেরেছে। সেটা অনুধাবন করেই তারা এখন বাংলাদেশের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র হত্যাকারী বিএনপি আজ গণতন্ত্রের জন্য মায়া কান্না করছে। সব হারিয়ে দলটি এখন নেমেছে ভারত বিরোধিতায়। পাকিস্তানের আমলে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ভারত বিরোধিতা এবং এখন তার কন্যা শেখ হাসিনাকে নিয়ে ভারত বিরোধিতার অসুখ খেলা আবারও শুরু হয়েছে। আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না। তাদের কিছু করার ক্ষমতা নেই।
এদিকে বিএনপির ৮০ শতাংশ নেতাকর্মী আটক নিয়ে বিএনপি মহাসচিবকে তালিকা প্রকাশের আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, মিথ্যার বেসাতি করে রাজনীতি চলে না। ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশ সঠিক পথে আছে। যে যাই বলুক, আমাদের ভেতরের কথা আমরা জানি। অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে আমরা আমাদের অবস্থা জানি। আমাদের অবস্থা স্থিতিশীল। আশঙ্কার কোনো কারণ নেই। মিথ্যাচার ও অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না।
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে সরকারের অবস্থান তুলে ধরেন সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও পক্ষপাতহীন করতে চায় সরকার। নির্বাচনকে প্রবাহিত করতে এমপি মন্ত্রী কারোই হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না। নির্বাচনে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না। প্রশাসনিকভাবে ক্ষমতায় আছে বলে করবে এটা কোনো অবস্থায় হবে না। যে উদ্দেশ্যে নির্বাচন উন্মুক্ত করা হয়েছে সেই উদ্দেশ্য ব্যাহত করা যাবে না। উপজেলা নির্বাচনকে সম্পূর্ণভাবে অবাধ, সুষ্ঠু এবং পক্ষপাতহীন করতে চাই।
দায়িত্বশীলদের বক্তব্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাফ জানিয়ে দেন, ফ্রি স্টাইলে দল চলবে না। যার যেমন খুশি যখন-তখন দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য দেবেন সেটার দায় দল বহন করবে না। একজনের একটা বক্তব্য গোটা দলের শৃঙ্খলার ওপর আঘাত হানে- এমন কিছু হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে। জনগণের সঙ্গে সেতু তৈরি করতে হবে। সাংগঠনিক বিভিন্ন স্তরে যে দেয়াল রয়েছে তা ভেঙে সেতু রচনা করতে হবে। আমরা চ্যালেঞ্জিং সময় অতিক্রম করছি। এ সময় ঠান্ডা মাথায় কথা বলতে হবে। দায়িত্বশীলরা দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য দিতে পারেন না।
এ সময় কমিটি গঠন ও জেলা কর্তৃক কমিটি ভেঙে দেওয়া প্রসঙ্গে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পকেট কমিটি না করে দলের ত্যাগিদের কমিটিতে রাখতে হবে। অনেক সময় কেন্দ্রকে না জানিয়ে উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন কমিটি ভেঙে দেওয়াসহ কমিটির কারো পদ বাতিল ও অব্যাহতি দিয়ে থাকে জেলা কমিটি। এটা করা যাবে না। জেলা কমিটি কাউকে অব্যাহতি কিংবা কমিটি ভেঙে দেওয়ার বিষয়ে কেন্দ্রকে শুধু সুপারিশ করতে পারবে।