আজ সকালে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার বামনকান্দা জংশন থেকে যশোরের রুপদিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে গিয়েছে উচ্চ-ক্ষমতা সম্পন্ন একটি পরীক্ষামূলক ট্রেন। আজ শনিবার (৩০ মার্চ) সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে ভাঙ্গার বামনকান্দা জংশন থেকে ছেড়ে যায় ট্রেনটি।
এদিকে ট্রেনটির চালক হিসেবে ছিলেন মো. সাখাওয়াত হোসেন। পরীক্ষামূলক ট্রেন যাত্রায় উপস্থিত হয়ে পর্যবেক্ষণ করছেন রেল প্রকল্পের চায়না ইঞ্জিনিয়ার, সেনাবাহিনী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ। এদিকে, নতুন রেললাইন চালু হওয়ার খবরে রেললাইনের আশপাশের মানুষের মধ্যে চলছে উৎসবের আমেজ।
পরীক্ষামূলক ট্রেনের বিষয়ে ভাঙ্গার রেলস্টেশন মাস্টার মো. জিল্লুর রহমান জানান, শনিবার সকালে পরীক্ষামূলক ট্রেনটি যশোরের রুপদিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ট্রেনটি ১২০ কিলোমিটার গতিতে যশোর পৌঁছাতে সময় লাগে মাত্র এক ঘণ্টা। এভাবে কয়েকবার পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল করবে।
এ বিষয় ভাঙ্গা উপজেলার বামনকান্দা রেলওয়ের সেফটি ইনচার্জ শেখ নাছিম জানান, ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুর, রাজবাড়ী হয়ে যশোর পৌঁছাতে সময় লাগতো যেখানে ৪/৫ ঘণ্টা। সেখানে আজ নতুন রেললাইন দিয়ে ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত পৌঁছাতে সময় লাগবে মাত্র এক ঘণ্টা।
তিনি আরও জানান, আজ সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে যশোরের উদ্দেশে ৫টি মালবাহী ট্রেন ছেড়ে গেছে। এবার যশোর থেকে ভাঙ্গা ফিরে আসবে। বেলা ১২টার দিকে আবার ৫টি মালবাহী ও আরও ৫টি যাত্রীবাহী ট্রেন যশোরের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। এভাবে ট্রায়াল চলতে থাকবে।
এদিকে ঈদের পর আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন রেলপথ উদ্বোধন করা হবে। নতুন রেলপথ চালু হলে দক্ষিণবঙ্গের মানুষের ভাগ্য আরেকধাপ এগিয়ে যাবে বলেই মনে করছে বিশ্লেষকরা।