এবার ভারতে হোলি উৎসবে অশান্তি এড়াতে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে ফেলা হয়েছে মসজিদ। একটি বা দুটি নয়, একে একে ৯টি মসজিদ এভাবে ঢেকে ফেলা হয়েছে। একইসঙ্গে হোলিকে কেন্দ্র করে যাতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকে, সেজন্যও সতর্ক রয়েছে প্রশাসন। ত্রিপল দিয়ে মসজিদ ঢেকে ফেলার এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশে।
ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে আজ সোমবার (২৫ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তরপ্রদেশের আলিগড় এবং সম্বল জেলার অন্তত নয়টি মসজিদকে হোলির আগে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে বলে রোববার পুলিশ জানিয়েছে।
মূলত হোলির সময় মসজিদগুলোতে যেন রঙ মাখানো না হয় সেটি নিশ্চিত করাই এই পদক্ষেপের লক্ষ্য। এনডিটিভি বলছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এদিকে আলিগড়ে অন্তত দুটি মসজিদকে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। সার্কেল অফিসার (শহর) অভয় পান্ডে সাংবাদিকদের বলেছেন, এর মধ্যে একটি হলো সবজি মান্ডি এলাকার হালওয়াইয়ান মসজিদ এবং অন্য মসজিদটি দিল্লি গেটে অবস্থিত। এর পাশাপাশি সম্বল জেলায় সাতটি মসজিদ একইভাবে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।
অভয় পান্ডে বলেছেন, হোলিকে কেন্দ্র করে যাতে কোনোরকম অশান্তি না ছড়ায় সেজন্য স্পর্শকাতর এলাকায় পতাকা মিছিল করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ পিকেটিং বসানো হয়েছে। সম্বল জেলাতেও মুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে একমত হয়ে, বিতর্ক এড়াতে কিছু মসজিদকে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) শ্রীশ চন্দ্র পিটিআইকে বলেছেন, গত বছরের মতো সম্বলের ছয়-সাতটি মসজিদও পারস্পরিক সম্মতিতে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে, কারণ রং ছড়ানোর ফলে প্রায়ই বিবাদ হয়। সার্কেল অফিসার (সম্বল) অনুজ কুমার চৌধুরী পিটিআইকে বলেছেন, জেলা প্রশাসন যে সমস্ত রুটে হোলি খেলা হয় সেগুলোর মসজিদগুলোকে ঢেকে দিয়েছে।
এদিকে মুসলিম ট্রেডার্স অর্গানাইজেশনের পৃষ্ঠপোষক এহতেশাম আহমেদ বলেছেন, গত বছরও হোলির সময় বাজার মসজিদ, নাখাশা মসজিদ এবং আর্য সমাজ রোডে অবস্থিত একটি মসজিদসহ সম্বলের বেশ কয়েকটি মসজিদকে শহরে শান্তি বজায় রাখার জন্য ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, প্রশাসন কর্তৃক মসজিদ ঢেকে রাখার এই সিদ্ধান্ত শান্তি বজায় রাখার জন্য ভালো পদক্ষেপ।