এবার তিন বছরের সংসার শেষে বিচ্ছেদ। তবে এর আগে বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত। আদালত মিমাংসার পরামর্শ দিলেও কাজ হয়নি। বিচ্ছেদ বেছে নিয়েছে দুই পরিবার। তালাকের পর শ্বশুরবাড়িতে বিয়ের সময় দেওয়া ‘উপহার’ সামগ্রী তালিকা করে বুঝে নিতে গেলে বিষয়টি আলোচনায় আসে।
বাবার বাড়ি থেকে যা কিছু দেওয়া বা আনা হয়েছিল সবকিছুই বুঝে নিয়েছেন টুকটুকি খাতুন। এই দেনা-পাওনা ঘটে গত মঙ্গলবার ১৯ মার্চ মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে। সেখানে উপস্থিত অনেকেই বিষয়টি দেখতে ভিড় করেন। টুকটুকি খাতুন মেহেরপুরের গাংনীর কসবা গ্রামের মেয়ে।
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার বাসিন্দা মো. লিংকনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তার। লিংকনের পরিবারের ফেরত দেওয়া পণ্যের মধ্যে ছিল খাট-টেবিল থেকে শুরু করে চিনি, লবন পর্যন্ত। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে থেকে তালিকা অনুযায়ী সবকিছু বুঝে নিয়েছে টুকটুকির পরিবার।
এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছে, তিন বছর আগে লিংকন আর টুকটুকির বিয়ে হয়। সংসার জীবনে বনিবনা না হওয়ায় এক পর্যায়ে স্বামীর বিরুদ্ধে মেহেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যৌতুক নিরোধ ও নারী নির্যাতন আইনে দুটি মামলা করেন টুকটুকি খাতুন। আদালত তাদের আইনজীবীদের বিষয়টি মীমাংসার নির্দেশ দেন। কেউ কাউকে ছাড় না দেওয়ায় ছেলের পরিবার বিভিন্ন উপহার মেয়ের পরিবারকে বুঝিয়ে দেয়।
এদিকে ছেলেপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রাসেল জানিয়েছেন, উভয়পক্ষকে নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করা হয়েছে। তারা সম্পর্ক রাখতে রাজি হয়নি। কেউ কাউকে ছাড় না দেওয়ার ফলাফল এ তালাক। যেটি জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণে ঘটেছে।