গত কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পর এ বছরের মার্চে পানামা ও কুরাসাওয়ের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছিল আর্জেন্টিনা। জুনে আবারও প্রীতি ম্যাচ খেলতে মাঠে নামছে দলটি। এশিয়া সফরে আলবিসেলেস্তেরা খেলবে দুটি ম্যাচ। ১৫ জুন চীনের বেইজিংয়ে মেসিদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, ১৯ জুন জাকার্তায় মুখোমুখি হবে স্বাগতিক ইন্দোনেশিয়ার। গতকাল শনিবার ২৭ মে রাতে এই ম্যাচ দুটির জন্য মেসিকে অধিনায়ক করে ২৭ সদস্যের দল ঘোষণা করেছেন আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি।
স্কোয়াডে রয়েছে বেশ চমক। ৫ বছর পর দলে ডাক পেয়েছেন আতলেতিকো মাদ্রিদ কোচ দিয়েগো সিমিওনের ছেলে জিওভানি সিমিওনে। ২৭ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার খেলেছেন ইতালিয়ান ক্লাব নাপোলিতে। ম্যারাডোনার পর ৩৩ বছর পর সিরি ‘আ’ জিতেছে ক্লাবটি। লিগ শিরোপা জয়ে বড় অবদান রেখেছেন সিমিওনে।
তার দারুণ পারফরম্যান্স নজর এড়ায়নি আর্জেন্টিনা কোচের। এছাড়া দলে ফিরেছেন অলিম্পিক মার্শেইয়ের লিওনার্দো বালের্দি, লাঁসের ফাকুন্দো মেদিনা ও সেভিয়ার লুকাস ওকাম্পোস। স্কোয়াডে নতুন মুখ নেদারল্যান্ডসের ক্লাব পিএসভি আইন্দোফেনের গোলরক্ষক ওয়ালতার বেনিতেজ।
তবে দলে ইনজুরির কারণে দলে যায়গা হয়নি বিশ্বকাপজয়ী দুই ফরোয়ার্ড পাওলো দিবালা ও লাউতারো মার্তিনেজকে। সম্প্রতি অ্যাঙ্কেলের চোটে পড়েছেন দিবালা ও মার্তিনেজে। আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম ওলে জানিয়েছে, ইন্টার মিলানের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল খেলার পর চিকিৎসা নেবেন মার্তিনেজ। আগামী ক্লাব মৌসুমের আগে পুরোপুরি সেরে উঠতেই জাতীয় দলের জন্য বিবেচনা করা হয়নি তাকে।
আর দিবালার না থাকা নিয়ে আর্জেন্টাইন সাংবাদিক গাস্তন এদুল টুইটারে লিখেছেন, ‘চোট নিয়ে ইউরোপা লিগের ফাইনালে (আগামী বুধবার) দিবালা খেলতে পারবেন কিনা, সেটা ব্যাপারেই জানেন না। সেখানে চীন সফর নিয়ে ভাবার কোনো মানেই হয় না। তারা (আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ও এএস রোমা) দিবালাকে সেরে ওঠার সুযোগ দিতে চায়।’ মেসিদের এ সফর আসলে বাংলাদেশে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাফুফে মাঠের ব্যবস্থা করতে না পারায় বাংলাদেশে না এসে যাচ্ছে চীন ও ইন্দোনেশিয়ায় যাচ্ছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
এশিয়া সফরের আর্জেন্টিনা দল
গোলরক্ষক: এমিলিয়ানো মার্তিনেজ, জেরেনিমো রুলি, ওয়ালতার বেনিতেজ।
রক্ষণভাগ: নাহুয়েল মোলিনা, গনজালো মন্তিয়েল, জার্মান পেজ্জেয়া, ক্রিস্তিয়ান রোমেরো, লিওনার্দো বালের্দি, নিকোলাস ওতামেন্দি, ফাকুন্দো মেদিনা, নিকোলাস তালিয়াফিকো, মার্কোস আকুনিয়া।
মাঝমাঠ: লিওনার্দো পারেদেস, এনজো ফার্নান্দেজ, গিদো রদ্রিগেজ, রদ্রিগো দি পল, এজেকেল পালাসিওস, অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার, থিয়াগো আলমাদা, জিওভানি লো সেলসো।
আক্রমণভাগ: লুকাস ওকাম্পোস, আনহেল দি মারিয়া, হুলিয়ান আলভারেজ, জিওভানি সিমিওনে, আলহান্দ্রো গারনাচো, নিকোলাস গনজালেজ, লিওনেল মেসি।