, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ , ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


যেভাবে উদ্ধার করল ছিনতাই হওয়া জাহাজ

  • আপলোড সময় : ১৭-০৩-২০২৪ ০৫:০০:১১ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৭-০৩-২০২৪ ০৫:০০:১১ অপরাহ্ন
যেভাবে উদ্ধার করল ছিনতাই হওয়া জাহাজ
৪০ ঘণ্টা ধরে অভিযান চালিয়ে সোমালিয়ার জলদস্যুদের ছিনতাই করা পণ্যবাহী জাহাজ ‘এমভি রুয়েন’ থেকে ১৭ জন নাবিককে উদ্ধার করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী। ওই সময় ৩৫ জলদস্যু আত্মসমর্পণ করেন। ছিনতাই করা পণ্যবাহী জাহাজ উদ্ধারের সেই রুদ্ধশ্বাস অভিযানের কাহিনী এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

ভারতীয় নৌবাহিনী এক বিবৃতিতে বলছে, ৪০ ঘণ্টা ধরে অভিযান চালিয়ে ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ আইএনএস কলকাতা এমভি রুয়েনের মাধ্যমে জলদস্যুদের ছিনতাইচেষ্টা ভণ্ডুল করে দেয়। এটি ভারতীয় উপকূল থেকে ২ হাজার ৬০০ কিলোমিটার দূরে নোঙর করা ছিল। এই অভিযানে আইএনএস সুভদ্র নামের আরেকটি ভারতীয় জাহাজও অংশ নেয়।  

উদ্ধার হওয়া সেই জাহাজে ৩৭ হাজার টন কার্গো ছিল, যার বাজারমূল্য ১০ লাখ ডলার। রোববারই ওই জাহাজ ভারতে আনার কথা। এই অভিযানে বেশ কয়েকটি জাহাজ, ড্রোন, আকাশযান ও ম্যারিন কমান্ডো অংশ নেয়। নজরদারি করার সময় এমভি রুয়েন নামের ওই জাহাজ শনাক্ত করে ভারতীয় নৌবাহিনী।

এই জাহাজটি উদ্ধার করতে এরপর যুদ্ধজাহাজ আইএনএস কলকাতাকে পাঠায়। ২ হাজার ৬০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এটি শুক্রবার এমভি রুয়েনের কাছে যায়। জাহাজটি গত ডিসেম্বরে ছিনতাই করে সোমালি জলদস্যুরা।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে সোমালিয়ার উপকূলে বাংলাদেশের পতাকাবাহী যে কার্গো জাহাজ ছিনতাই করা হয়েছে, তার জন্য এ জাহাজটিকে জলদস্যুরা ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে থাকতে পারে।

এমভি রুয়েনের কাছে যুদ্ধজাহাজ আইএনএস কলকাতা যাওয়ার পর বিশেষ ড্রোন সেখানে পাঠানো হয়, নাম হাই অ্যালটিটিউড লং এনডুরেন্স। তাতে তারা নিশ্চিত হয়, এমভি রুয়েনে জলদস্যু রয়েছে। একটি ড্রোন দেখার পর গুলি চালানো শুরু করে তারা। এতে ভূপাতিত হয় ড্রোনটি। 

ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রকাশিত ভিডিও থেকে দেখা যায়, এমভি রুয়েনের ডেকে হাঁটছেন এক জলদস্যু। এরপর জাহাজ দেখে সেইদিকে বন্দুক তাক করছেন। সঙ্গে সঙ্গে গুলিও চালান তিনি।

এরপর এমভি রুয়েনের স্টিয়ারিং সিস্টেম অকার্যকর করে দিতে সক্ষম হয় আইএনএস কলকাতা। এ ছাড়া ওই জাহাজের দিকনির্দেশনা ব্যবস্থাও অকার্যকর করে দেওয়া হয়। শনিবার এমভি রুয়েনের পুরো নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় ভারতীয় নৌবাহিনী। আকাশযান হিসেবে ব্যবহার করা হয় পি৮আই ও সি–১৭। এই অভিযানে কেউ হতাহত হয়নি।
সর্বশেষ সংবাদ
‘গণহত্যার জন্য যাদের অনুশোচনা নেই, তারা রাজনীতি করারও অধিকার হারিয়েছে’

‘গণহত্যার জন্য যাদের অনুশোচনা নেই, তারা রাজনীতি করারও অধিকার হারিয়েছে’