এবার জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লার প্রধান প্রকৌশলী আবু সাঈদ মোহাম্মদ সাঈদুজ্জামানের বাড়ি নওগাঁ শহরের শাহী মসজিদ এলাকায়। তার বাবা আব্দুল কাইয়ুম, স্ত্রী মান্না তাহরিন সতধা ও সাঈদুজ্জামানের মা কহিনূর বেগমের সঙ্গে।
এদিকে প্রকৌশলী আবু সাঈদ মোহাম্মদ সাঈদুজ্জামানের বাবা আব্দুল কাইয়ুম জানান, গত রাত ভোর ৩টার দিকে সাঈদুজ্জামান তার ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বার থেকে ফোন করেন। বলেন, তাদেরকে ভারত মহাসাগরের কোন একস্থানে জিম্মি করেছে জলদস্যুরা। সেখান থেকে তাদেরকে সোমালিয়ার দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। দাবিকৃত মুক্তিপণ দিয়ে দিলে তাদের ছেড়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে।
এরপর সকাল ১০টার দিকে তার স্ত্রী মান্না তাহরিন সতধার হোয়াটস অ্যাপে একটি অডিও বার্তা পাঠান ওই জাহাজের এক কর্মকর্তা। যেখানে তারা ভালো আছেন বলে জানানো হয়। সকলেই সেহরি খেয়ে রোজা আছেন। তবে মুক্তিপণ না দিলে তাদেরকে একে একে মেরে ফেলা হবে বলেও ওই অডিওতে জানানো হয়। মান্না তাহরিন আরও জানান, ওই জাহাজের সকলের মোবাইল ডিভাইস জব্দ করা হয়েছে। একটি রুমে সকলকে রাখা হয়েছে।
এদিকে ছেলের এমন জিম্মিদসার খবরে ভেঙ্গে পড়েছেন পরিবারের সকলেই। সাঈদুজ্জামানের মা কহিনূর বেগম ও স্ত্রী সতধা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। সহযোগিতা চান সরকারের কাছে। যেকোন মূল্যে ছেলেকে জীবিত দেখতে চান পরিবারের সদস্যরা। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টার দিকে এমভি আবদুল্লাহ সোমালীয় জলদস্যুদের কবলে পড়ে। এরপর অন্তত ১০০ জলদস্যু জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। বর্তমানে ২৩ নাবিককে কেবিনে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশের পতাকাবাহী ‘এমভি আবদুল্লাহ’ নামের জাহাজটি দেশের অন্যতম শিল্পগোষ্ঠী কবির গ্রুপের সহযোগী সংস্থা এস আর শিপিং লিমিটেডের মালিকানাধীন। জাহাজটি সোমালিয়া উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে জিম্মি জাহাজের ২৩ নাবিককে পরিচয় জানা গেছে। বাঁচার আকুতি জানিয়ে গোপন অডিও বার্তা দিয়েছেন তাদের কেউ কেউ।