, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ , ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে ইফতার পার্টিতে নিষেধাজ্ঞা, ঢাবিতে প্রতিবাদ

  • আপলোড সময় : ১২-০৩-২০২৪ ০৯:৪৮:৪৪ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১২-০৩-২০২৪ ০৯:৪৮:৪৪ পূর্বাহ্ন
দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে ইফতার পার্টিতে নিষেধাজ্ঞা, ঢাবিতে প্রতিবাদ
এবার ইউনেস্কো স্বীকৃত বিশ্বের অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ইফতার পার্টি আয়োজনে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। সোমবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে শাবিপ্রবি ও নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে ইফতার পার্টির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বাঙালি সংস্কৃতির ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপের প্রতিবাদ ব্যানারে মানববন্ধন করেন এই শিক্ষার্থীরা।

এতে অবিলম্বে বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা। পরে টিএসসি থেকে অপরাজেয় বাংলা পর্যন্ত মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। এরআগে, সোমবার শাবিপ্রবি ও নোবিপ্রবি প্রশাসন ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ইফতার পার্টির আয়োজন না করার নির্দেশনা দিয়ে নোটিশ জারি করেছে।

এ সময় মানববন্ধনে ইসলামিক স্টাডিজের শিক্ষার্থী এবি জুবায়ের বলেন, নোবিপ্রবি ও শাবিপ্রবি ইফতার পার্টি নিষেধ করার প্রতিবাদে আমরা দাঁড়িয়েছি। পবিত্র রমজানে ইফতার পার্টি করা আমাদের ঐতিহ্য। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় যে নোটিশ দিয়েছে, তা আমাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও চেতনার বিরোধী। সে জায়গা থেকে আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি যেন এ ধরনের ধর্মবিদ্বেষী নোটিশ আর দেওয়া না হয়। অবিলম্বে এ নোটিশ যেন প্রত্যাহার করা হয়।

এদিকে সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আরিফুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক দেশ, এ দেশে ইফতারকে কীভাবে নিষিদ্ধ করে? এটা খুবই জঘন্য কাজ হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব ইফতার নিয়ে বিজ্ঞপ্তি তুলে নিতে হবে।

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আরাফাত হোসেন ভূঁইয়া বলেন, জাতির সঙ্গে এ ধরনের তামাশা বন্ধ করতে হবে। প্রত্যেক ক্যাম্পাসে মুসলিম শিক্ষার্থী থাকা সত্ত্বেও ইফতার পার্টি নিষিদ্ধ করা ধৃষ্টতার শামিল। এ দেশে সুফিসাধকদের হাত ধরে হাজার বছর ধরে ইফতারের ঐতিহ্য রয়েছে। আমরা একা একা ইফতার না করে বেশি বেশি করে সবার সঙ্গে মিলেমিশে ইফতার করব। অবিলম্বে এ বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারের দাবি জানাই।
সর্বশেষ সংবাদ
‘গণহত্যার জন্য যাদের অনুশোচনা নেই, তারা রাজনীতি করারও অধিকার হারিয়েছে’

‘গণহত্যার জন্য যাদের অনুশোচনা নেই, তারা রাজনীতি করারও অধিকার হারিয়েছে’