, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ , ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


সরকারি কর্মচারীদের ৬০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির দাবি

  • আপলোড সময় : ২৭-০৫-২০২৩ ০২:২৬:২৮ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৭-০৫-২০২৩ ০২:২৬:২৮ অপরাহ্ন
সরকারি কর্মচারীদের ৬০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির দাবি
এবার অন্তর্বতী সময়ের জন্য ৬০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি ও নতুন জাতীয় বেতন স্কেল দাবি জানিয়েছেন তৃতীয় শ্রেণির সরকারি কর্মচারীরা। আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় বাংলাদেশ তৃতীয় শ্রেণি সরকারি কর্মচারী সমিতি।
 
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তবে বলা হয়, নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় সীমিত আয়ের সরকারি কর্মচারীদের জীবন যাপন কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। ২০১৫ সালে সর্বশেষ জাতীয় বেতন স্কেল প্রদানের পর গত আট বছরে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, চিকিৎসা ব্যয়সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর মূল্য প্রতিনিয়ত অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় সীমিত আয়ের সরকারি কর্মচারীদের জীবন যাপন কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।

গত আট বছরে বাৎসরিক ৫ শতাংশ হারে মোট ৪০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি হলেও অবশিষ্ট ঘাটতি পূরণের জন্য ৬০ শতাংশ অন্তবর্তীকালীন বেতন বৃদ্ধি ও অবিলম্বে জাতীয় ৯ম (নতুন) বেতন স্কেল প্রদানের দাবি জানান। সমিতির মহাসচিব মো. ছালজার রহমান বলেন, অবিলম্বে কর্মচারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে স্থায়ী বেতন কমিশন ও স্থায়ী চাকরি কমিশন গঠন করতে হবে।

জীবন যাপনের ব্যয়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে অবিলম্বে নতুন (৯ম) জাতীয় কমিশন ঘোষণা ও ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু সরকার কর্তৃক ঘোষিত বেতন কমিশনের ন্যায় ১০টি বেতন স্কেলে নতুন বেতনস্কেল বাস্তবায়ন করতে হবে। সমিতির মহাসচিব বলেন, টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনপ্রবর্তন করতে হবে। তৃতীয় শ্রেণির সকল কর্মচারীদের শতভাগ টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড প্রদান করতে হবে।

সকল প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আইসিটি সংশ্লিষ্ট জনবলের রেডিয়েশন ভাতা শতকরা ৩০ ভাগ, পাহাড়ি জনবলের পাহাড়ি ভাতা শতকরা ৩০ ভাগ ও কক্সবাজারসহ পর্যটন এলাকার মূল বেতনের ৫০ শতাংশ পর্যটন ভাতা দিতে হবে। তিনি বলেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রবর্তন করতে হবে। সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মচারী নিয়োগে আউটসোর্সিং প্রথা বন্ধ করে তৃতীয় শ্রেণির সকল শূন্য পদে অবিলম্বে নিয়োগ প্রদান করতে হবে।

এ দাবিগুলো বাস্তবায়নে আগামী ৩১ মে বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। এছাড়া ৭ থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন দপ্তর ও প্রতিষ্ঠান, প্রশাসনিক বিভাগ ও জেলাগুলোতে দাবির সমর্থনে কর্মচারী সমাবেশের ঘোষণা দেয়া হয়। দাবি বাস্তবায়ন না হলে ৮ জুলাই রোজ শনিবার অনুষ্ঠিতব্য কেন্দ্রীয় বর্ধিত সভায় নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
দেশে ফিরে নিজের স্বপ্নের কথা জানালেন বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস

দেশে ফিরে নিজের স্বপ্নের কথা জানালেন বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস