, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ , ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


প্রেমিককে গাছে বেঁধে প্রেমিকাকে দলবদ্ধ গণধর্ষণ, অভিযুক্ত আ.লীগ নেতা

  • আপলোড সময় : ১০-০৩-২০২৪ ০২:৫৫:৪০ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১০-০৩-২০২৪ ০২:৫৫:৪০ অপরাহ্ন
প্রেমিককে গাছে বেঁধে প্রেমিকাকে দলবদ্ধ গণধর্ষণ, অভিযুক্ত আ.লীগ নেতা
এবার সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে প্রেমিককে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (৮ মার্চ) রাতে উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার কিশোরী ও তার প্রেমিক বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। এ ঘটনায় শনিবার রাতে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে প্রধান আসামি করে ৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি গণধর্ষণের মামলা করেছেন। 

এদিকে মামলায় আসামিরা হলেন উপজেলার জালালপুর গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে মান্নারগাঁও ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফছর উদ্দিন (৩৫), ফয়জুল বারী (৪৫), কামারগাঁও গ্রামের ইদ্রিছ আলীর ছেলে আব্দুল করিম (৩৫), জালালপুর গ্রামের হায়াত আলীর ছেলে ছয়ফুল ইসলাম (৩০)। 
 
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পলাশ গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে মো. নুরুজ্জামান হবিগঞ্জের মাধবপুরে রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। সেই সুবাদে ওই কিশোরীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত শুক্রবার ভুক্তভোগী প্রেমিক-প্রেমিকা বিয়ে করতে দোয়ারাবাজার উপজেলার কামারগাঁও গ্রামের বন্ধু আফাজ উদ্দিনের বাড়িতে যাওয়ার জন্য রওনা দেন।

এরপর সন্ধ্যায় দোয়ারাবাজারের আজমপুর খেয়াঘাটে একই গ্রামের সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক আব্দুল করিমের সঙ্গে তাদের সাক্ষাৎ হয়। আব্দুল করিম তাদেরকে আফাজ উদ্দিনের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেন। তার কথামতো রাতে সেখান থেকে অটোরিকশায় তারা রওনা দেন। এরপর পথে গ্যাস নেই জানিয়ে অটোরিকশা থামিয়ে আফছর উদ্দিনকে ডেকে আনেন চালক।

পরে তিনি প্রেমিক-প্রেমিকাকে চড় দিয়ে অসামাজিক কাজের অভিযোগ তুলে পুলিশে সোপর্দ করার ভয় দেখান। এরপর পরিত্যক্ত একটি বাড়িতে নিয়ে প্রেমিককে গাছের সঙ্গে বেঁধে আফছর উদ্দিন, ফয়জুল বারী, আব্দুল করিম ও ছয়ফুল ইসলাম ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনার পর একই অটোরিকশায় তুলে প্রেমিক-প্রেমিকাকে কিছুদূর নিয়ে ফেলে রেখে যান অভিযুক্তরা। 

এ বিষয়ে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) রাজন কুমার দাস বলেন, খবর পেয়ে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে তার বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। এরপর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের মামলাও নেওয়া হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
আমাদের বিষয়ে ভারতকে নাক না গলাতে বলা হয়েছে: পররাষ্ট্রসচিব

আমাদের বিষয়ে ভারতকে নাক না গলাতে বলা হয়েছে: পররাষ্ট্রসচিব