এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পুরুষদের বিরুদ্ধে বেশি কিছু বলে নিজের ভোট হারাতে চাই না। আজ শুক্রবার (৮ মার্চ) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলনে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের যে বৃত্তি দেই সেই বৃত্তির টাকা সরাসরি মায়ের নামে চলে যায়। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সেই টাকা মায়ের নামে চলে যায়। মায়ের নামে দিলে টাকাটা থাকে, কাজে লাগে। সেটা সাশ্রয় হয়। বাবার নামে দিলে সব সময় যে পাবে তা তো না। দেখা গেলো জুয়া-টুয়া খেলে উড়িয়ে দিল বা দুটো বড় বড় ইলিশ মাছ নিয়ে এসে খেয়ে সাবাড় করে দিলো। মা সবসময় সঞ্চয় করে। মায়ের সব সময় সঞ্চয়ের মনোভাব আছে।
এ সময় মুখে হাসি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমি পুরুষদের বিরুদ্ধে কিছু বলছি না। বেশি কিছু বলে নিজের ভোট হারাতে চাই না। তিনি বলেন, আমরা নারীদের জন্য অনেক পদক্ষেপ নিয়েছি। আমাদের সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, এমনকি বর্ডার গার্ড, কোথাও নারীদের অবস্থান ছিল না। আমরা সেখানে একে একে সব বাহিনীতে মেয়েদের সুযোগ করে দেই। মেরিন একাডেমিতে মেয়েদের পড়ারই সুযোগ ছিল না। সেটাও আমরা করে দিয়েছি।
এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, আজ দেশে-বিদেশে মেয়েরা কাজ করছে। আমাদের শান্তিরক্ষা মিশনে মেয়েরা সবচেয়ে ভালো কাজ করছে। জাতিসংঘ এখন মেয়ে অফিসার চায়। পুলিশ, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনীতে আমাদের মেয়েরা দক্ষতার সাথে তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। একটা সুযোগ দিতে হয়, সুযোগ না দিলে হয় না।
তিনি আরও বলেন, অর্থনৈতিক সচ্ছলতা মেয়েদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমি প্রথমবার নিয়ম করলাম যে প্রাইমারি শিক্ষকের ৬০ শতাংশ হবে নারী। সেইভাবে আমরা একে একে কাজ শুরু করেছি। আমরা কমিউনিটি ক্লিনিক করেছি সারা বাংলাদেশে। ২০০১-এ প্রথমবার করেছিলাম, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে সেগুলো বন্ধ করে দেয়। সেখানে নারীরাই কাজ করে। সেখানে হেল্প প্রোভাইডার হিসেবে প্রশিক্ষণ দিয়ে নারীদের কাজে লাগাই।