এবার বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় তিন-চারজন ছনতাইকারী জ্যোতির ব্যক্তিগত সরঞ্জাম বহনকারী ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। তবে ছিনতাইয়ের মুহূর্তে সেখানে উপস্থিত ছিলেন না টাইগ্রেস অধিনায়ক।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটে। শেরপুরে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন জ্যোতি। সেদিন জ্যোতির গ্রামের বাড়ি শেরপুর থেকে ব্যক্তিগত গাড়িতে করে ফিরছিলেন জাতীয় দলের সতীর্থ ফারজানা হক পিংকির স্বামী মাহবুব রাকিব মিশন। সেই গাড়িতে করেই মিরপুরে আনা হচ্ছিল জ্যোতির মূল্যবান জিনিপত্র।
ওই দিন মধ্যরাতে মাহবুব রাকিব মিশন পৌঁছান মিরপুর ২ স্টেডিয়াম সংলগ্ন নিজের বাসায়। বাসার সামনে যখন তিনি কেয়ারটেকারের অপেক্ষায় ছিলেন, তখনই তিন থেকে চারজন অস্ত্রধারী দেশীয় অস্ত্রের মুখে ছিনিয়ে নেন জ্যোতির ব্যাগ।
এই ছিনতাইয়ের ঘটনার পরদিন মিরপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পিংকির স্বামী ও ভুক্তভোগী মিশন মামলাটি করেন। কিন্তু ঘটনার পর প্রায় এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি বলে অভিযোগ করেন জ্যোতি। এই ঘটনায় হারানো জিনিসপত্র নিয়ে উদ্বিগ্ন তিনি। একই সঙ্গে তথ্যগত নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
এদিকে জ্যোতি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শেরপুর থেকে পরের দিন আমার ঢাকায় আসার কথা। আমার সঙ্গে অনেকগুলো লাগেজ থাকায় আমি আমার একটা ব্যাগ তার (পিংকির স্বামী) সঙ্গে দিয়ে দেই। ওটার মধ্যে আমার হেলমেট ছিল, দৌড়ানোর জুতা ছিল, কিছু ড্রেস আর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিল।’
টাইগ্রেস পাক্তান জানান, ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজে ছিনতাইকারীদের সরাসরি দেখা না গেলেও তারা যে গাড়িটিকে অনুসরণ করছিল তা বোঝা গেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা একটা মামলা করছি, পিংকি আপুর হাজবেন্ড একটা মামলা করে আসছে। কিন্তু এটা ১ তারিখের ঘটনা হলেও এখনো কোনো সুরহা হয়নি।’
এদিকে মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। আমাদের একজন এসআই এটা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। আশাকরি শিগগিরই অপরাধীদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে পারবো। জ্যোতি জানান, এই ঘটনায় পিংকির স্বামী মিশনের দুটি আইফোন ও ক্যামেরাসহ মূল্যবান জিনিস খোয়া গেছে।