এবার স্বামীর সঙ্গে বিশ্বভ্রমণে গিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন স্পেনের এক নারী। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১ মার্চ) রাতে ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার (২ মার্চ) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বামীর সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে এশিয়া ভ্রমণে বের হয়েছিলেন স্পেনের ওই নারী। রাতে তাঁবুতে অবস্থানকালে সাতজন দুর্বৃত্ত তাকে ধর্ষণ করে। ঘটনার পরপরই ইনস্টাগ্রামে লাইভ করেন ওই নারী। এ সময় মারধরের শিকার বিপর্যস্ত স্বামীকেও তার সঙ্গে দেখা যায়। খবর: টাইমস অব ইন্ডিয়া
এদিকে লাইভে এসে ৪৫ বছর বয়সী ওই নারী জানান, তাঁবুতে অবস্থানকালে ৮-১০ জনের একটি দল তাদের ওপর হামলা করে। তার স্বামীকে মারধর করে এবং তাকে টেনেহিঁচড়ে নির্জন স্থানে নিয়ে যায় এবং পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার স্প্যানিশ ওই পর্যটক দম্পতি মোটরসাইকেলে করে দুমকা হয়ে বিহারের ভাগলপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে হান্সদিহা এলাকায় তাঁবুতে রাত কাটানোর সিদ্ধান্ত নেন। সেখানে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন ওই নারী। এ সময় ওই দম্পতিকে মারধরও করা হয়, লুট করা হয় মূল্যবান জিনিসপত্র। এ ঘটনায় শনিবার তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ বিষয়ে দুমকার পুলিশ সুপার পিতাম্বর সিং খায়েরওয়ার বলেন, ওই দম্পতি বাইকার। পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসার পর ঝাড়খণ্ডের মধ্যদিয়ে নেপালের দিকে যাচ্ছিলেন তারা। সন্ধ্যা হওয়ায় বিশ্রাম নিতে থামেন। পরে দুমকার কুঞ্জি গ্রামে একটি অস্থায়ী তাঁবু স্থাপন করেন।
নেপাল যাত্রায় তাদের বিহারের ভাগলপুর যাওয়ার কথা ছিল। এ সময় তিনি সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। পরে পুলিশের গাড়ি দেখে সহায়তা চান দম্পতি। এরপর টহল পুলিশ ওই নারী ও তার স্বামীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এদিকে পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, ওই নারীর শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। বিষয়টির তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদেরও নিয়োগ করা হয়েছে। তিনি বলেন, শুক্রবার রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিল পুলিশ।
মামলার তদন্ত চলছে এবং গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। স্পেনের ওই নারী বর্তমানে সরিয়াহাট কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের (সিএইচসি) একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জানা গেছে, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ ভ্রমণ শেষে ভারতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তিনি।