, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ , ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


শুধু একজন আমাকে ও রাকিবকে এক করতে পারে: মাহি

  • আপলোড সময় : ২৮-০২-২০২৪ ০৪:১৩:৩১ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৮-০২-২০২৪ ০৪:১৩:৩১ অপরাহ্ন
শুধু একজন আমাকে ও রাকিবকে এক করতে পারে: মাহি
এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে জামানত হারিয়েছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। রাজনীতি ও চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারের মতো ব্যক্তিজীবনও খুব একটা ভালো যাচ্ছে না তাঁর। দুই বিয়ে করলেও মোটেও সুখের হয়নি সংসার।

এদিকে অপুর সঙ্গে বিচ্ছেদ করে রাকিব সরকারের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। এ সংসারও টেকেনি বেশি দিন। থাকছেন আলাদা। সম্প্রতি হঠাৎ করেই ফেসবুকে এক ভিডিও পোস্ট করে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন নায়িকা। জানান, তারা আলাদা থাকছেন এবং বিচ্ছেদ চান।

এরপর থেকেই সোশ্যালে প্রায়ই একাকিত্ব নিয়ে পোস্ট করেন মাহি। গতকাল সকালে এক পোস্টে মাহিয়া মাহি লিখেন, ‘একটা আস্থার জায়গা হলেই চলবে, একটা মানুষের মতো মানুষ হলেই চলবে, একটুখানি যত্ন নিও ছেলে।’

এদিকে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেওয়ার কিছুদিন যেতে না যেতেই আস্থার জায়গা খুঁজেছেন এই নায়িকা। এবার যেন আস্থার জায়গা খুঁজে পেলেন মাহি। সোমবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে কয়েকটি ছবি শেয়ার করেছেন মাহি। ক্যাপশনে চিত্রনায়িকা লিখেছেন- ‘আস্থার আস্তানা’।

এরপরই বিষয়টি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন তার স্বামী রকিব সরকার। আস্থার আস্তানায় সিসা সাজানো থাকে বলে মন্তব্য তার। মঙ্গলবার নিজের ফেসবুকে সন্তান ফারিশের সঙ্গে একটি ছবি প্রকাশ করেছেন রকিব। সেখানে লিখেছেন- ‘আস্থা…! শব্দটির সঙ্গে যখন ডিক্লেয়ারেশন ইস্যু যুক্ত হয় তখন তার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বাস, নির্ভরতা ছাড়াও গভীরে অনেকগুলো সমার্থকের উপস্থিতি উপলব্ধি হওয়া খুবই প্রাসঙ্গিক।’

এদিকে মাহির আস্থার আস্তানায় মাদক দ্রব্য সেবন করা হয়- এমন ইঙ্গিত দিয়ে তিনি লেখেন, ভয়ংকর রাতে আস্থার আস্তানায় সাজানো সিসা। তার সদস্যদের সবাই দেখল। ওই আস্তানার প্রধান ফটোগ্রাফির অজুহাতে আড়ালেই রয়ে গেল। সপ্তাহ-দশ দিনে তো আর এমন আস্থা অর্জন করা সম্ভব না।

রাকিবের এমন অভিযোগের পর মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টায় ফেসবুকে একটি ভিডিওবার্তা দেন মাহিয়া মাহি। সেখানে চিত্রনায়িকা মাহি বলেন, প্রেম করার সময় বুঝা যায় না, বিয়ে করলে বুঝা যায় কার কী প্রবলেম। আমার যে এত এত প্রবলেম নিশ্চয়ই রাকিব বিয়ের আগে বুঝেনি, তেমিন রাকিবের বিষয়ে আমিও বুঝিনি। ওর যেগুলো প্রবলেম ছিল সেগুলো পরে দেখেছি। একসঙ্গে যখন থাকব তখন ভালো লাগবে। আর যখন সম্পর্ক নাই হয়ে যাবে, তখন আর শত্রু হব— আমি আর রাকিব এ ক্যাটাগরির মানুষ না।

এদিকে মাহি বলেন, সব সময় আমরা বলতাম, কোনো দিন যদি আমরা একসঙ্গে না থাকি, তা হলে সব শেষ দুজন দুজনের শত্রু হয়ে গেলাম আমরা এ রকম না। রাকিব জীবন থেকে অতীত হয়েছে, আমি ওর (রাকিবের) জীবন থেকে অতীত হয়ে গেছি। কিন্তু আমাদের একজন আছে, যিনি আমাদের দুজনকে আবার এক হওয়াতে পারে। যদি টান থেকে থাকে তা হলে বাচ্চাটার জন্যই হতে পারে। আমি হচ্ছি ফারিশের মা, রাকিব সরকার ফারিশের বাবা। তার জন্য দুজনের প্রতি সর্বোচ্চ রেসপেক্ট থাকবে।
সর্বশেষ সংবাদ
‘গণহত্যার জন্য যাদের অনুশোচনা নেই, তারা রাজনীতি করারও অধিকার হারিয়েছে’

‘গণহত্যার জন্য যাদের অনুশোচনা নেই, তারা রাজনীতি করারও অধিকার হারিয়েছে’