বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সহায়তায় জাতিসংঘের তিনটি সংস্থাকে পৃথকভাবে ৬৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সহায়তা দিচ্ছে জাপান সরকার। এ অর্থের মধ্যে ২৭ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হবে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম), ২৭ মিলিয়ন জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) ও বাকি ১৫ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হবে ইউনাইটেড নেশন্স এনটিটি ফর জেন্ডার ইকুয়ালিটি অ্যান্ড দ্য এমপাওয়ারমেন্ট অব উইমেন বা ইউএন উইমেনের মাধ্যমে। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় জাপানের দূতাবাস পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
জাপান দূতাবাস জানায়, রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করা তিনটি সংস্থার সঙ্গে সোমবার পৃথকভাবে অর্থ বিনিময় করেছেন বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত আইওয়ামা কিমিনোরি। এর মধ্যে ২৭ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হবে আইওএমকে, ২৭ মিলিয়ন ইউনিসেফকে ও বাকি ১৫ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হবে ইউএন উইমেনের মাধ্যমে।
আইওএমকে দেওয়া ২৭ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও স্থানীয় অধিবাসীদের জন্য পানি, পয়োনিষ্কাশন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা বা ওয়াশ; দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস; আশ্রয় প্রকল্প ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ পাঁচ ধরনের কার্যক্রমে। এর মাধ্যমে প্রায় পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা ও স্থানীয় অধিবাসী উপকৃত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ইউএন উইমেনকে দেওয়া ১৫ মিলিয়ন ডলার কক্সবাজারে দুর্যোগ প্রস্তুতির লক্ষ্যে দক্ষতা উন্নয়ন এবং বাকি ২৭ মিলিয়ন ডলার ইউনিসেফের মাধ্যমে কক্সবাজার ও ভাসানচরে ওয়াশ প্রকল্প, স্বাস্থ্য খাত ও পুষ্টি নিশ্চিতে ব্যয় হবে।
রাষ্ট্রদূত আইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, এই সমন্বিত উদ্যোগের ফলে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনমান উন্নয়ন হবে বলে আমি আশাবাদী। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন এবং আইওএমের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাকে সহায়তায় জাপান কাজ করে যাবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশে আসার পর থেকে জাপান প্রায় ২২০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে।