পবিত্র শবে বরাতের রাতে মসজিদে ইমাম অনুপস্থিত থাকায় ইমামতি নিয়ে দ্বন্দ্বে এশার নামাজ পড়ানোকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনাটি ঘটেছে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হিজলবাড়িয়া উত্তরপাড়া জামে মসজিদের সামনে।
গতকাল রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে আজ সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ওই গ্রামে কয়েক দফা উত্তেজনা সৃষ্টি হলেও পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রেখেছে।
এদিকে আহতদের মধ্যে হিজলবাড়িয়া গ্রামের মুরেজ আলীর ছেলে বাদশা মিয়া (৫০), সিরাজুল ইসলাম(৪০), মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে নবীর উদ্দীন (৫২) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। বাকিরা স্থানীয়ভাবে গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিয়েছেন।
গ্রামবাসীরা জানান, হিজলবাড়িয়া উত্তরপাড়া জামে মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আজমাইন হোসেন ওয়াজ মাহফিলে যাওয়ায় অনুপস্থিত ছিলেন। তাই মুসল্লীদের মধ্যে থেকে মাহফুজ হোসেন নামের একজন ইমামতি করেন।
নামাজ শেষে নজরুল ইসলাম নামের অপর এক মুসল্লী মসজিদের বাইরে এসে নামাজ পড়ানো হয়নি বললে মুসল্লীদের মধ্যে দুই ভাগ হয়ে একে অপরের সাথে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয়। বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় তারা। এসময় উভয় পক্ষই লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন।
এদিকে নামাজ পড়ানো নিয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়া অতি বাড়াবাড়ি বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষেরা। মসজিদ কমিটির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন জানান, মসজিদের ইমাম সাহেব ছুটি নিয়ে ওয়াজ মাহফিলে যাওয়ায় মাহফুজ হোসেনকে ইমামতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এখানে সমস্যা হওয়ার কথা না।
এদিকে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।